AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMCP: কলেজে TMCP নেত্রীর ‘দিদিগিরি’, সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ

TMCP: ঘটনার সূত্রপাত,  কলেজে কর্মরত মনিকা হাঁসদা নামে এক আদিবাসী সহকারি অধ্যাপককে আপত্তিজনক মন্তব্য  করা নিয়ে। এক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির একটি প্রতিনিধি দল সোমবার বিকালে কলেজ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে দেখা করতে যায়।

TMCP: কলেজে TMCP নেত্রীর 'দিদিগিরি', সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ
ডান দিকে অভিযুক্ত টিএমসিপি নেত্রীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2025 | 11:44 AM
Share

জলপাইগুড়ি:  এবার ‘দাদাগিরি’ নয়, কলেজে TMCP নেত্রীর দিদিগিরি’! জলপাইগুড়ি প্রসন্ন দেব মহিলা মহা বিদ্যালয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার মুখে সাংবাদিক।  সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ।

ঘটনার সূত্রপাত,  কলেজে কর্মরত মনিকা হাঁসদা নামে এক আদিবাসী সহকারি অধ্যাপককে আপত্তিজনক মন্তব্য  করা নিয়ে। এক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির একটি প্রতিনিধি দল সোমবার বিকালে কলেজ কর্তৃপক্ষর সঙ্গে দেখা করতে যায়।

সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দেন কলেজের নিরাপত্তারক্ষী ও TMCP নেত্রীরা। সাংবাদিকরা ছবি করতে গেলে বাধা দিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন দেবশ্রী কার্জি নামে এক বহিরাগত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী।

পরে অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আদিবাসী সংগঠনের পথ আগলে দাঁড়ায় কলেজের বর্তমান ছাত্রী ও এই বহিরাগত নেত্রীদের টিম। আগাম অনুমতি নেওয়ার পরেও বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে আদিবাসী নেতারা। শুরু হয় উত্তেজনা।খবর পেয়ে কলেজে আসেন কোতোয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। পরে অবশ্য আদিবাসী নেত্রীত্ব কলেজ কর্তৃপক্ষর সাথে বৈঠক করেন।

এদিন অধ্যাপিকাদের চেয়ারে পা তুলে বসে থাকতে দেখা যায় বহিরাগত ছাত্রীকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েই দৌঁড়ে পালান মুর্শিদা পারভিন নামে ওই বহিরাগত। কলেজ কর্তৃপক্ষেরও সাফ বক্তব্য, “বহিরাগতদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।” কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসী সহকারি অধ্যাপককে  NSS এর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই কাজ করেননি। বদলে বিভিন্ন অজুহাত দিয়েছিলেন। তাই তাঁর কাছ থেকে কারণ জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রীদের দাপাদাপি নিয়ে দলের নেতারাই ক্ষুব্ধ।  তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি গৌরব ঘোষ ২১ শে জুলাই উপলক্ষে কলকাতায় ছিলেন। তবে বিষয়টি শোনার পর তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন।

আদিবাসী কল্যাণ সমিতির তরফে রাজেশ লাকড়া বলেন, অধ্যক্ষ আশ্বস্ত করেছেন তিনি অধ্যাপিকাকে শোকজ করেননি। তবে কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রীদের ব্যবহার ভাল লাগেনি, সেটাও জানিয়েছেন তিনি।”

তৃনমূলের প্রাক্তন প্রধান তথা আদিবাসী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি প্রধান হেমব্রম বলেন, “কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম করে যেভাবে বহিরাগত মেয়েরা দাপাদাপি করল,  তাতে আমাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।”

কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তপন মিত্র বলেন, “এক অধ্যাপিকার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ যা হয়েছে তা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। তাদের আটকানোর কোনও নির্দেশ সিকিউরিটি বা কাউকে দেওয়া হয়নি।”

সিপিএমের জেলা সম্পাদক পিযুশ মিশ্র বলেন, “আদিবাসী সংগঠন ও সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রীদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলেজগুলি বহিরাগতদের দখলে চলে গিয়েছে। আসলে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় এই পরিণতি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”