Smuggling: রাতারাতি কোটিপতি! শাহি দরবারে তৃণমূল নেতা-সহ ১০ জনের নাম পাঠাচ্ছে বিজেপি

Bangladesh Border in Malda: মালদা জেলাকে করিডর করে জাল নোট, অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি মাদক ও সোনা পাচার ব্যাপক হারে চলে বলে অভিযোগ।

Smuggling: রাতারাতি কোটিপতি! শাহি দরবারে তৃণমূল নেতা-সহ ১০ জনের নাম পাঠাচ্ছে বিজেপি
মালদা সীমান্ত দিয়ে পাচার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 5:58 PM

মালদা: ১০ জন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। প্রত্যেক প্রভাবশালীরই কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার পিছনে রয়েছে মাদক ও সোনা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল নেতা, জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন বলে দাবি। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি, মালদা জেলার এই ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে তাঁদের হাতে। ওই প্রভাবশালীদের সম্পর্কে তাঁদের কাছে থাকা তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যাতে এ ব্যাপারে তদন্ত করে সে জন্য আবেদনও জানাবেন।

মালদা জেলাকে করিডর করে জাল নোট, অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি মাদক ও সোনা পাচার ব্যাপক হারে চলে বলে অভিযোগ। পুলিশ এবং বিএসএফ-এর হাতে প্রায়শই ধরা পড়ে মাদক ও সোনা পাচারকারীরা। সম্প্রতি এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে সিআইডি। সিআইডি-র দাবি এ সবই মাদক পাচারের টাকা। ফেন্সিডিল থেকে শুরু করে ইয়াবা ট্যাবলেট, ব্রাউন সুগার বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে। মায়ানমার থেকে মূলত ইয়াবা ট্যাবলেট আসছে। আর এই পাচারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা ব্যবসায়ীরা। এই তথ্য বার বারই উঠে এসেছে বিভিন্ন তদন্তে। মালদহের বেশ কয়েক জন অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছে বলে অভিযোগ। র‍্যাডারেও এমন কয়েক জন ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও ইতিমধ্যেই কয়েক জনের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে। এ বার বিজেপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে এ নিয়ে অভিযোগ করতে সক্রিয় হল।

এই প্রভাবশালীদের ব্যাপারে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেছেন, “কেউ ফুটপাতে ফল বিক্রি করতেন। এখন তাঁর প্রাসাদের মতো বাড়ি। কয়েক বছরেই প্রচুর সম্পত্তির মালিক। পাশাপাশি তৃণমূলের নেতা। কেউ নার্সিংহোমে কাজ করত, কমিশন পেত। এখন নার্সিংহোমের মালিক। অল্প দিনেই নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি, ব্যবসার মালিক। এমন ১০ জনের নাম ও তাঁদের ব্য়াপারে তথ্য আমরা পেয়েছি। এরা মাদক পাচার আর সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। যাবতীয় তথ্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠাচ্ছি। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করব। তৃণমূলের বহু নেতা ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, ব্রাউন সুগার পাচারের সঙ্গে যুক্ত।” যদিও তিনি কারও নাম নেননি।

বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেছেন, “এতদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করত। এখন বিজেপি নিজেই তদন্ত শুরু করেছে। আগে নিজেদের দলের লোকেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করুক। কোন ব্যবসা করে রাতারাতি সব কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে, আর বড় বড় বাড়ি বানাচ্ছে। সেই সব নেতা কোন চোরাচালানে যুক্ত সেটাও তদন্ত করুক। ক্ষমতা থাকলে সেই সব নাম সামনে নিয়ে আসুক।”