Mamata in Malda Update: নাগরিকত্বের কোনও ভয় নেই, আমিই গ্যারান্টার: মমতা
Mamata in Malda Update: “আমরা ভাঙন নিয়ে খুব চিন্তিত। ভাঙন আটকাতে সরকার সবরকম চেষ্টা করছে। কিন্তু কেন্দ্র কোনও টাকা দিচ্ছে না।” বললেন মমতা।
মালদা: বুধবার রাতেই মালদায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিকে গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে শুরু হওয়া জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে এই জেলাতেই এখান রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। এদিন মালদায় এক মঞ্চে দেখা যাবে অভিষেক-মমতাকে। সহজ কথায়, এই প্রথম তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মমতা ও অভিষেক একসঙ্গে সভা করবেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই মঞ্চ থেকে তাঁরা কী বার্তা দেন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। ইতিমধ্যে মালদায় প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়েছেন মমতা। শুরুতেই গঙ্গা ভাঙন রোধ নিয়ে দিলেন বড় বার্তা। দুষলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। বললেন…
- আমরা ভাঙন নিয়ে খুব চিন্তিত। ভাঙন আটকাতে সরকার সবরকম চেষ্টা করছে। কিন্তু কেন্দ্র কোনও টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলে আশ্বাস দিলেও, কিছু দেয়নি। আমরা ৫ হাজার কোটি খরচ করে ভাঙন রক্ষা করার কাজ করছি। কোথা থেকে টাকা আর পাব? কেন্দ্র কিছু টাকা দিচ্ছে না। আমি বলেছি, ভাঙন রুখতে একটা প্ল্যান করতে হবে। শুধু গঙ্গা ভাঙন নয়। সুন্দরবন প্ল্যান, গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান এবং গঙ্গা ভাঙন প্ল্যান। এই তিনটি প্ল্যান দ্রুত কার্যকর করতে হবে। সেটাই নির্দেশ সহকারে বলা হয়েছে।
- গঙ্গা ভাঙন বেড়েই চলেছে। অথচ অনেকেই সেখানে জায়গা দখল করে আবার বাড়ি – ঘর তৈরি করে চলেছে। সেটা বন্ধ করতে হবে। ভাঙন কবলিত এলাকায় গঙ্গা থেকে পাঁচ কিমি মধ্যে কোনও ঘর – বাড়ি তৈরি করা যাবে না। একটা বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে হবে। কি অবস্থা হয়ে রয়েছে, তা দেখতে হবে। আমি সামশেরগঞ্জ এলাকায় ভাঙন রোখার কাজ করার জন্য ৫০ কোটি টাকা দিচ্ছি। পরের বছর আরও ৫০ কোটি টাকা দেব। পরিবেশ দপ্তরের খাত থেকে এই টাকা দেওয়া হবে। বড় বড় গাছ লাগাও। ওটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মোট ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হয়েছে এবছর সুন্দরবনে। ১০০ দিনের কর্মীদের সব দিক থেকে যুক্ত করতে হবে এই কাজে। ভেটিভার ঘাস লাগাতে হবে।
- পলি তোলা হচ্ছে না। রাস্তাও করছে না কেন্দ্রীয় সরকার। ধুলিয়ান এবং সামসেরগঞ্জের অবস্থা সবথেকে খারাপ। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না।
- মুখ্যসচিব এর নেতৃত্বে একটা কমিটি তৈরি করা হবে। সেই কমিটিতে থাকবে সেচ, অর্থ, বন ও পঞ্চায়েত। এই কমিটি তিনটি জেলার জন্য করা হবে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং নদীয়া। জেলাশাসকের নজরদারিতে এই কমিটির কাজকর্ম হবে। ভাঙন রক্ষায় ভেটিভার ঘাস লাগানো হবে। সেই কাজ করা থেকে ভাঙন রক্ষায় কি কি কাজ করা হবে, সেই বিষয়টি এই কমিটি দেখা হবে।
- “কালিয়াগঞ্জ, গাজোল যেটা হচ্ছে, সেটা ইচ্ছা করে হচ্ছে। দিল্লি থেকে টিম এসেছে। ১৫-২০ জনের এই দল।” মমতার দাবি, এই দল রাজবংশীদের মাধ্যমে অশান্তি ছাড়তে চাইছে। কিছুজনকে ব্যবহারও করা হচ্ছে। টাকাও দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। এরপর পুলিশের দিকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
- বলেন, “কালিয়াগঞ্জ এর ঘটনা এতটা দেরি হল কেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে? কেন তাড়াতাড়ি করা গেল না? আমি ডিজি কে প্রশ্ন করছি। কেন জনগণের কাছে আগে থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা গেল না?”
- কেন পুলিশকে মারধর করা হল? কে দিল এত সাহস? আমি গুলি চালাতে বলছি না। আমি শুনেছি, কালিয়াগঞ্জের ওই ক্লাবটি বিএসএফ নিয়ন্ত্রিত। আমার কাছে খবর রয়েছে। আপনাদের কাছে নেই? ওসিরা কি করছে? বিএসএফ তো ৫০ কিমি মধ্যে ঢুকে যা খুশি তাই করছে। গুলি কোথা থেকে চলল, তার তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশের কাছে কি কোনও রিপোর্ট থাকে না?
- এরপরই ডিজির উদ্দেশে বলেন, “আইবি স্ট্রং করতে হবে। আপনারা তো তিনটি পড়শি রাজ্যের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।”
- নাগরিকত্বের কোন ভয় নেই, যেখানে আমি গ্যারান্টার।