Malda: উচ্ছেদের জন্য রেলের নামেই এই চক্রান্ত! নোটিস ঘিরে মালদহে চরম বিভ্রান্তি
Malda: বিভিন্ন জায়গায় রেলের জায়গায় একাধিক পরিবার বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে দীর্ঘদিন ধরে। যারা বেআইনি ভাবে রেলের জায়গা দখল করে রয়েছেন, পুরসভার ভোটে তাঁরাই আবার কয়েকটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভোটার। যাঁদের নিয়ে ক্ষমতার আবর্তে থাকেন কাউন্সিলররা।

মালদহ: উচ্ছেদ করতে রেলের নামে জাল নোটিসের অভিযোগ। ঘরে ঘরে উচ্ছেদের রেলের জাল নোটিস সাঁটিয়ে দেওয়ার বা হাতে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর এবং কিছু রেলেরই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই নোটিস সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডিআরএম। শুধু তাই নয়, এই নিয়ে রেল বোর্ডে জরুরি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটিতেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তোলা হবে। ঘটনা মালদহের রেল কলোনির। মালদহ রেল কলোনি এলাকায়।
বিভিন্ন জায়গায় রেলের জায়গায় একাধিক পরিবার বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে দীর্ঘদিন ধরে। যারা বেআইনি ভাবে রেলের জায়গা দখল করে রয়েছেন, পুরসভার ভোটে তাঁরাই আবার কয়েকটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভোটার। যাঁদের নিয়ে ক্ষমতার আবর্তে থাকেন কাউন্সিলররা। বিশেষ করে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুন হয়ে যাওয়ার পরে পরেই সেই এলাকার দখল কার হবে তা নিয়ে চলছে রেষারেষি। এরই মধ্যে অভিভাবকহীন ওই পরিবারদের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল রেলের নোটিশ। যেখানে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে তাঁদের উঠে যেতে বলা হয়েছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সংসদের রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য তথা বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মুর অভিযোগ, এই নোটিস জাল। ভুয়ো নোটিস দিয়ে উচ্ছেদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূলের এক কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীরা। শুধু নোটিস নয়, তৃণমূলের ‘মাসল ম্যানদের’ দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। একই সঙ্গে আরও গুরতর অভিযোগ, রেলের ঠিকাদারদের সাথে যোগসাজশে তৃণমূলের নেতাদের ওই চক্র রেলের আউটসোর্স কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রাপ্য অর্ধেকের বেশি টাকা পকেটস্থ করছে। বিষয়টি নিয়ে খগেন মুর্মু ডিআরএম-এর কাছে অভিযোগ জানান। নোটিস দেখে তাঁদের ডিআরএম জানান, এই নোটিস রেলের নয়। দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন ডি আর এম।
অন্যদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর গৌতম দাসের পালটা বক্তব্য, “এই চক্রান্তে বিজেপিরই মদত আছে। আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানি না।” একই দাবি তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আই এনটিটিইউসি র জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যালের। তাঁরও বক্তব্য,”বিজেপি ছাড়া রেলের ঠিকাদার হওয়া যায় না। এই বিষয়ের আমরাও তদন্ত চাই।”
এদিকে, আতঙ্কিত রেল কলোনির বহু মানুষ। তাঁরাও বলছেন, রেলের নোটিস দিতে যাঁরা এসেছিল তাঁরা রেলের লোক নয়। কোনো কাউন্সিলর তাঁদের পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই নোটিসে রেলের সিলমোহর নেই, আধিকারিক এর স্বাক্ষর ও ছিল না।

