AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: ২ মাসের মধ্যেই চুরমার ১ কোটি টাকার বাঁধ, TMC বিধায়ক বললেন, ‘সব CPM-BJP-র দোষ’

Malda: ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনীর দক্ষিণ চণ্ডীপুর এলাকায়। সেখানেই বাঁধ গেল ভেঙে। বাঁধ ভেঙে হু-হু করে সংরক্ষিত এলাকায় জল ঢোকার ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল বাসিন্দারা।

Malda: ২ মাসের মধ্যেই চুরমার ১ কোটি টাকার বাঁধ, TMC বিধায়ক বললেন, 'সব CPM-BJP-র দোষ'
বাঁধ ভেঙে চুরমারImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2025 | 2:47 PM
Share

মালদহ: নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে ভিজছে উত্তরবঙ্গও। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। আর এবার মালদহে ভেসে গেল একটি বাঁধ। মাত্র মাস দু’য়েক আগেই ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে তৈরি হয়েছিল এই বাঁধটি। তবে জলে গেল সেই টাকা। স্রোতের তোড়ে ভেঙে দুমাস আগে তৈরি বাঁধ।

ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনীর দক্ষিণ চণ্ডীপুর এলাকায়। বাঁধ ভেঙে হু-হু করে সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকছে জল। যার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল বাসিন্দাদের মধ্যে। এলাকায় বসবাসকারী দেড় লক্ষের বেশি মানুষ এখন সব হারানোর ভয়ে দিন-গুনছেন।

বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। সেচ দফতর থেকে প্রশাসন জনপ্রতিনিধি সকলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রসঙ্গত, গত বছর ভূতনীর এই এলাকায় বাঁধ কেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। দু’দফার বন্যায় প্রায় মাস দুয়েক গোটা ভূতনী এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। এরপর শুখা মরশুমে মালদহ জেলা সেচ দফতরের পক্ষ থেকে ভূতনীর দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটাবাঁধের জায়গায় ১কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দিন কয়েক আগেই সেই বাঁধ চুঁইয়ে তার নিচ দিয়ে একটু একটু করে ভূতনীর সংরক্ষিত এলাকার দিকে জল ঢোকার দৃশ্য নজরে আসে।

তবে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলে সেই জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা কাজে এলো না। প্রবল জলের স্রোতে ভূতনীর দক্ষিণ চণ্ডীপুরের নব নির্মিত বাঁধ ভেঙে যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে জলের তোড়ো উত্তর চণ্ডীপুর এবং হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ভেসে যেতে পারে।

মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, “আমরা বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ আটকেছিলাম। রাতের অন্ধকারে সিপিএম ও বিজেপির লোক রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এই বস্তাগুলো সরিয়ে ফেলে। সেই কারণে এই দশা। কাজ সব ঠিকভাবেই হয়েছে।” সিপিআইএম নেতা দিব্যজ্যোতি মিশ্র বলেন,”এই অবস্থা করেছে সাবিত্রী মিত্র। ১ কোটি টাকা দিয়ে কালভার্টের কাজ হবে? মানস ভুঁইয়া বললেন লকগেট বানাবে। আর বানিয়েছে কালভার্ট।” মালদা জেলা পরিষদ প্রাক্তন সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন,”ভূতনী শেষ। এটা তো ঢাক-ঢোল বাজিয়ে উদ্বোধন হয়েছিল। যে সব ইঞ্জিনিয়াররা দাঁড়িয়ে আছে সব চোর। ওরা সব চোর।” এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শিবনাথ গাঙ্গুলী বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি সবটা ঠিক হয়ে যায়।” পঙ্কজ তামাং, এসডিও, সদর বলেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমি সবটাই দেখছি। ডিএম সাহেবকে বলছি। সেচদফতরকেও বলেছি।”