AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda: মাদ্রাসার বিরুদ্ধে উঠল ভয়ঙ্কর অভিযোগ, এতদিন পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠল ছাত্রছাত্রীরাই

Malda: মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের জালালপুরে একটি পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জে এইচ আর সিনিয়র মাদ্রাসা। কিন্তু দ্বাদশ ছাত্রছাত্রীদের অনেকের অভিযোগ, ভর্তি ফি ২৪০ টাকা। রশিদ ২৪০ টাকা লেখা হলেও বাস্তবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা।

Malda: মাদ্রাসার বিরুদ্ধে উঠল ভয়ঙ্কর অভিযোগ, এতদিন পর ক্ষোভে ফুঁসে উঠল ছাত্রছাত্রীরাই
মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2025 | 2:30 PM
Share

মালদহ:  ভর্তির জন্য নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ ফি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প যে কন্যাশ্রী। সেই কন্যাশ্রী ফর্ম পূরণ থেকে নাম নথিভূক্ত করতে নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো টাকা বলে অভিযোগ। মালদহের চাঁচল-২ ব্লকের জে এইচ আর সিনিয়র মাদ্রাসায় বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সঙ্গে রয়েছে আরও ভূরি ভূরি অভিযোগ।

মাদ্রাসার সুপার ও এক শিক্ষক স্কুলে যে কোনও কাজ করতেই ওই বাড়তি টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে ছাত্রপক্ষের তরফে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।

মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের জালালপুরে একটি পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জে এইচ আর সিনিয়র মাদ্রাসা। কিন্তু দ্বাদশ ছাত্রছাত্রীদের অনেকের অভিযোগ, ভর্তি ফি ২৪০ টাকা। রশিদ ২৪০ টাকা লেখা হলেও বাস্তবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। কন্যাশ্রী ও স্বামী বিবেকানন্দ প্রকল্পের কাজ করে দিতে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। যে কাজ বাইরে ৩০ টাকা দিলেই অনলাইনে করে দেওয়া হয়। কিন্তু বাইরে তা করলে বাতিল করার হুমকি দেওয়া হয়। কারও আই কার্ড হারিয়ে গেলে তা স্কুল থেকে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেজন্যও টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

প্রজেক্ট খাতা বাইরে ১০ টাকায় মেলে। কিন্তু মাদ্রাসায় নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। বাইরে থেকে প্রজেক্ট খাতা কিনলে তাকে নম্বর দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসার সুপার ওয়াজেদ আলি ও এক শিক্ষক মিলে এভাবে সমস্ত কাজে বাড়তি টাকা নিয়ে দুর্নীতি করছেন বলে তাদের নাম ধরে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এক  ছাত্রী বলেন, “অবিলম্বে আমাদের বাড়তি যে টাকা নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দিতে হবে।”

গোটা ঘটনা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে ওই মাদ্রাসার সুপারকে ধরা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

চাঁচল ২ ব্লকের বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অপরদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মালদহ তৃণমূলের সভাপতি তথা ওই বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি।