Malda: পাওনা টাকা চাইতেই বিপত্তি! দাদার হাতে ধারাল অস্ত্রের কোপ খেতে হল ভাইকে

Malda: দু'মাস আগে ভাই সুজিত হালদারের থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ধার নেয় তপন হালদার

Malda: পাওনা টাকা চাইতেই বিপত্তি! দাদার হাতে ধারাল অস্ত্রের কোপ খেতে হল ভাইকে
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 4:28 PM

মালদা: কয়েকমাস আগে দাদাকে টাকা ধার দিয়েছিল ভাই। কিন্তু অনেকদিন কেটে যাওয়ার পরও সেই টাকা না মেলায় দাদার কাছে পাওনা টাকা চাইতে যান তিনি। আর সেখানেই হলো বিপত্তি। ধারের টাকা শোধ করা তো দূর, উল্টে ভাইকে খুনের চেষ্টা অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে।

ঘটনাস্থান মালদার ইংরেজবাজার থানা এলাকার। আক্রান্ত ভাইয়ের নাম সুজিত হালদার। স্থানীয় সূত্রে খবর, দু’মাস আগে ভাই সুজিত হালদারের থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ধার নেয় তপন হালদার। সেই টাকার মধ্যে থেকে ২০ হাজার টাকা শোধ দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু বাকি ২০ হাজার টাকা না মেলায় আজ সকালে দাদার থেকে টাকা চাইতে যান সুজিত। এরপরই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। পাওনা টাকা চাইতেই রেগে যান তপনবাবু। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।

আক্রান্ত ভাইকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে মালদা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দাদা এলাকাছাড়া। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, রাজ্যে খুন, অপরাধমূলক ঘটনায় বারবার উঠেছে মালদার নাম। চলতি মাসের ২১ তারিখ মালদার চাঁচলে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দলেরই নেতাকে। অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ পুলিশের। ধৃত তৃণমূল নেতার নাম কলিমউদ্দিন শেখ। তিনি চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী। এই ঘটনায় শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে বাড়িতে ছিলেন সেতাবুর। বাড়ির লোকেদের দাবি অনুযায়ী, রাতে কয়েক জন এসে তাঁকে ডাকাডাকি করেন। বাইরে একটা জরুরি কাজ রয়েছে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ পরও বাড়ি ফেরেন না তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুজতে বের হন। মোবাইলেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁকে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। পরিবারের তরফে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজও করা হয়।পাশাপাশি বিভিন্ন আত্মীয়দের বাড়িতেও খোঁজ করা হয়। কিন্তু কোনওভাবেই খোঁজ মেলে না। পরে থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন সকালে বাড়ির অদূরেই একটি এলাকায় সেতাবুরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর সারা শরীরে গভীর ক্ষত। বাঁ হাতে খুবলে তুলে নেওয়া হয়েছে মাংস। ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিক অনুমান। তারপর দেহ সেখানেই ফেলে রাখা হয়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এখানেই শেষ নয়, দুই ভাইয়ের ঝামেলায় একের অন্যকে খুনের অভিযোগ আগেও উঠেছে। গত সপ্তাহে দুই ভাইয়ের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হয় এক প্রতিবেশীকে। তাঁর কান ও হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই পরিবারের বিরুদ্ধে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপানোরও অভিযোগ উঠেছে। এমনই মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকে মালদহের চাঁচলের মালতীপুর।

আরও পড়ুন: Visva-Bharati University: ‘বিশ্বরেকর্ড’ গড়ার পর ভুল বুঝল বিশ্বভারতী! TV9 খবরের জেরে সরলো ভুল মেধা তালিকা