TMC Ledaer: তৃণমূল নেতার কুকীর্তির ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন! জানতে পেরেই বেধড়ক মার, খুনের হুমকি শ্রমিককে
Malda: কোনওক্রমে উদ্ধার পেয়ে তিনি পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান। এরপর চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মালদা: গোপনেই চলছে পুকুর খনন। একশো দিনের কাজের পুকুর খোঁড়া হচ্ছে রাত্রিবেলা। জেসিবি মেশিন দিয়ে। গোটা বিষয়টি প্রতিবাদ করতেই তৃণমূল নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ‘চক্ষুশূল’ হয়ে উঠলেন শ্রমিক। তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কী ঘটেছে?
মালদার চাঁচল-২ নম্বর ব্লকের জালালপুর পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, এলাকার জবকার্ডধারী শ্রমিকদের কাজ না দিয়ে জেসিবি মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে গোপনে রাতের অন্ধকারে। অভিযোগ, দায়িত্ব নিয়ে এই কাজ করছিলেন জালালপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মাসতারা বিবির স্বামী, এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হাবিবুর রহমান। এর ফলে জবকার্ড থাকা সত্ত্বেও কাজ পাচ্ছে না শ্রমিকরা। ফলে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাঁদের। এরই প্রতিবাদ করেন শ্রমিক রফিকুল ইসলাম। মোবাইলে ছবিও তুলে নেন সেই পুকুর খননের। এরপরই তাঁকে ধরে বেধড়ক মারধরের করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে খবর। এখানেই শেষ নয়, লাগাতার চলে খুনের হুমকি।
কোনওক্রমে উদ্ধার পেয়ে তিনি পালিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান। এরপর চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। একইসঙ্গে অভিযোগ করেন এসডিও এবং বিডিওর কাছে। তবে জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাসতারা বিবির স্বামী হাবিবুর রহমান সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে ওই শ্রমিক বলেন, “জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও আমারা ১০০ দিনের কাজ পাচ্ছি না। প্রধানের লোকেরা রাতের অন্ধকারে জেসিবি, ট্রাক্টর দিয়ে পুকুর খননের কাজ করে। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমি ব্লকে অভিযোগ জানাই তখন প্রধানের স্বামী দলবল নিয়ে আমায় মারধর করে।”
আরও পড়ুন: Howrah Municipal: অবসর প্রাপ্ত পুরকর্মীদের জন্য সুখবর, বকেয়া গ্র্যাচুয়িটি মিটিয়ে দেবে পুরসভা