Sagardighi: বাইরনের বিরুদ্ধে অকথ্য গালিগালাজের অভিযোগ তুলেছিলেন, আজ সেই TMC নেতাই স্বাগত জানাচ্ছেন বিধায়ককে

TMC: বাইরন তৃণমূলে যোগদানের পর থেকে ঘুরে ফিরে আসছে সারশেরগঞ্জের ধূলিয়ানের তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈনের প্রসঙ্গ। মনে পড়ছে এই ব্যক্তিকে? সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বাইরন বিশ্বাস জয়ের পর তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন এই সঞ্জয় জৈন। অভিযোগ ছিল, তাঁকে ফোনে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিধায়ক।

Sagardighi: বাইরনের বিরুদ্ধে অকথ্য গালিগালাজের অভিযোগ তুলেছিলেন, আজ সেই TMC নেতাই স্বাগত জানাচ্ছেন বিধায়ককে
বায়রন বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 11:37 PM

সাগরদিঘি: কংগ্রেসের হাত ছেড়েছেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস (Bayron Biswas)। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধীদের কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করছেন বাইরন বিশ্বাসকেও। বিজেপির অনুপম হাজরা কটাক্ষের সুরে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আয়রন হলে গলানো মুশকিল হতো, কিন্তু এটা বাইরন।’ এদিকে তৃণমূল শিবির থেকে আবার এমন একটা তত্ত্ব খাঁড়া করার চেষ্টা চলছে যে এটা কোনও দলবদলই নয়। তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, বাইরন আগে থেকেই তৃণমূলেরই ছিলেন। টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন, এখন আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন।

তৃণমূল শিবির থেকে যখন এমন একটি তত্ত্ব উঠে আসছে, তখন আবারও ঘুরে ফিরে আসছে সারশেরগঞ্জের ধূলিয়ানের তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈনের প্রসঙ্গ। মনে পড়ছে এই ব্যক্তিকে? সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বাইরন বিশ্বাস জয়ের পর তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন এই সঞ্জয় জৈন। অভিযোগ ছিল, তাঁকে ফোনে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিধায়ক। থানায় গিয়ে বাইরনের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়েছিলেন ধূলিয়ানের তৃণমূল নেতা। সেই নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও। বাইরনের বিরুদ্ধে সঞ্জয় জৈনের সেই অভিযোগ ঘিরে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু এখন বাইরন তো আবার তৃণমূলেই! আর বিধায়ক তৃণমূলে নাম লেখাতেই, অতীতের সেই পরিস্থিতিও এখন বদলে গিয়েছে। বাইরন বিশ্বাসকে স্বাগত জানিয়ে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সঞ্জয় জৈন।

ধূলিয়ানের তৃণমূল নেতা সঞ্জয় বলছেন, ‘আমাকে ভোটপ্রচারের জন্য সাগরদিঘিতে যেতে হয়েছিল সেই সময়। দলের নির্দেশেই গিয়েছিলাম। বাইরন বিশ্বাস এখন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এলেন। আমার দিক থেকে তাঁকে স্বাগত। আমি তৃণমূলের একজন কর্মী। দল একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমি মানব। আমি দলের ঊর্ধ্বে যেতে পারি না।’ তাহলে কি এখন পুরনো তিক্ততা অতীত হয়ে যাবে? প্রশ্ন করায় সঞ্জয়বাবু বলছেন, ‘উনি যদি আমার সঙ্গে ভালভাবে সম্পর্ক রাখতে পারেন, আমিও রাখব।’