‘শহিদ তুমি কার!’ স্বাধীনতা দিবসে মাল্যদানে ‘বাধা’ বিজেপি সাংসদকে

TMC BJP Clash: রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই বসন্তকুমার বিশ্বাসের বসতভিটেতে গিয়ে চার শহিদের মূর্তিতে মাল্যদান করতে যান সাংসদ জগন্নাথ সরকার। অভিযোগ, তখন মাল্যদানে বাধা দেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

'শহিদ তুমি কার!' স্বাধীনতা দিবসে মাল্যদানে 'বাধা' বিজেপি সাংসদকে
বাঁদিকে, সাংসদ, ডানদিকে হামলার ছবি, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2021 | 2:41 PM

নদিয়া: স্বাধীনতা দিবসে শহিদ বেদীতে মালা দিতে গিয়ে  রাজনৈতিক চাপানউতোরে উত্তপ্ত ভীমপুর থানার পোড়াগাছা এলাকা। স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্ত বিশ্বাসের মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়ে শাসক শিবিরের ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখে পড়েন লোকসভার বিজেপি সাংসদ (BJP MP) জগন্নাথ সরকার বলে অভিযোগ।

রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই বসন্তকুমার বিশ্বাসের বসতভিটেতে গিয়ে চার শহিদের মূর্তিতে মাল্যদান করতে যান সাংসদ জগন্নাথ সরকার। অভিযোগ, তখন মাল্যদানে বাধা দেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। এই নিয়ে বচসা শুরু হলে সাংসদের উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করে শাসক শিবির (TMC) বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সমর্থকেরা বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।

বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কথায়, “যাঁরা হামলা করেছেন তাঁদের মন্ত্রী শহিদ পরিবারের ছেলে। যে স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হল, তাঁরই বংশোদ্ভূত রাজ্য়ের মন্ত্রী। কিন্তু, সেই পরিচয় মন্ত্রী যে ভুলে গিয়েছেন তা ষ্পষ্ট। রাজ্যর মন্ত্রীর পূর্বজ বলেই কি বিপ্লবীর প্রতি সম্মান জানানো যাবে না? এই ধরনের ঘটনা লজ্জার। সকল নদিয়াবাসীর ক্ষেত্রেই লজ্জার। ” উল্লেখ্য, রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসেরই পূর্বজ স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্ত কুমার বিশ্বাস। সম্পর্কের দিক থেকে বসন্ত কুমার বিশ্বাসের ভাইপো রাজ্যের কারামন্ত্রী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিপ্লবী বসন্ত বিশ্বাসের ভিটেতে এখন ঘুঘু চড়ে। স্মৃতিরক্ষায় যে বেদি তৈরি করা হয়েছিল, তাতে অবহেলার ছাপ স্পষ্ট। বাড়িটিও সংরক্ষণের কোনও চেষ্টা করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। কাছেই একটি বাড়িতে থাকেন বসন্তকুমার বিশ্বাসের ভাইপো মনোজিৎ ও তাঁর স্ত্রী ৷ তাঁদের অভিযোগ, বিপ্লবীর স্মৃতিরক্ষায় কিছুই করেনি সরকার ৷ কেউ কখনও খোঁজ নিতে আসেনি ৷ নিজেদের উদ্যোগেই একটি দরমার ঘর বানিয়েছেন ৷ বসন্তকুমার বিশ্বাসের বেদি যাঁরা দেখতে আসেন, তাঁদের সেখানেই বসতে দেওয়া হয়।

যদিও, কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের পাল্টা দাবি করেছেন শহিদস্মৃতি রক্ষায় তিনি তাঁর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। তাঁর কথায়, “বাম সরকারের আমলে বিন্দুমাত্র চিন্তা ভাবনা ছিল না স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ওখানে রাস্তা বানিয়ে দিয়েছি। আমি নিজেও উদ্যোগ নিয়ে পুরোনো বাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করেছি। শুধুমাত্র একার উদ্যোগে সবকিছু করা সম্ভব নয়। যেহেতু তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন সেই কারণে সাধারণ মানুষের উচিত তাঁকে সম্মান জানিয়ে স্মৃতি আগলে রাখার। যত্ন নেওয়ার।” এই বসতভিটেতে এসেই বাধার সম্মুখীন হন বিজেপি সাংসদ। যদিও, সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের কারা মন্ত্রী। আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জঙ্গলমহলে উদ্ধার রহস্যজনক পোস্টার, উত্তোলিত কালো পতাকা, ফের সক্রিয় হচ্ছে মাও-চক্র?