Nadia Sterilization: ‘আদিবাসীদের ফুসলিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নির্বীজকরণ’? ভয়ঙ্কর অভিযোগে ফুঁসছেন এলাকাবাসীরা
Nadia Sterilization: নির্বীজকরণের অভিযোগ ঘিরে ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীদের মনেও। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, আদিবাসী সমাজের মানুষজনের অনেকের মধ্যেই সচেতনতা কিছুটা কম। তাঁদের অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়েই ফুসলিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হচ্ছে।

নদিয়া: কোভিড টিকাকরণের নাম করে নির্বীজকরণ? ভিন রাজ্য থেকে ফেরা এক পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে এমনই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ। শুধু এই একটি ঘটনাই নয়, সম্মতি ছাড়াই নির্বীজকরণের এমন আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে নদিয়া জেলা থেকে। নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্যভবনও। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের থেকে লিখিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এদিকে এই নির্বীজকরণের অভিযোগ ঘিরে ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীদের মনেও। সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, আদিবাসী সমাজের মানুষজনের অনেকের মধ্যেই সচেতনতা কিছুটা কম। তাঁদের অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়েই ফুসলিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হচ্ছে।
মৃত্যুঞ্জয় রায় নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, “আদিবাসী সমাজের মানুষদের অনেকেই এখনও কম সচেতন। তাই ওদের ফুসলিয়ে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অপারেশন করাচ্ছে।” তাঁর সন্দেহ, হয়ত অতিরিক্ত আয় কিংবা কমিশনের লোভেই এইসব কাজ করা হচ্ছে। স্বপ্না রায় নামে অপর এক মহিলার অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরকেও এভাবে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনিও। অভিযোগের সুর চড়িয়ে বললেন, “যাদের পয়সার অভাব বা পড়াশোনা জানে না, এমন মানুষজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা ওদের ব্যবসা। এভাবেই ব্যবসা চালাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, কাউকে জোর করে নির্বীজকরণ করানো যায় না। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপরেও গোটা বিষয়টি নির্ভর করে। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠে আসছে, কোনও সম্মতি ছাড়াই নির্বীজকরণ করানো হয়েছে। এই অভিযোগ উঠে আসতেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যোগাযোগ করা হয় জেলার সঙ্গে। সূত্রের খবর, মৌখিকভাবে জেলা থেকে স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে, সম্মতি নিয়েই নির্বীজকরণ করানো হয়েছিল। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের থেকে লিখিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। ওই লিখিত রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
