AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murder: ‘বাবাকে মেরে উঠোনে পুঁতে রেখেছে মা’, মেয়েদের অভিযোগে খুঁড়েও দেহ পেল না পুলিশ

Murder: রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ বাবা, বাড়ির উঠোন খুঁড়ল পুলিশ, মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মেয়েদের।

Murder: 'বাবাকে মেরে উঠোনে পুঁতে রেখেছে মা', মেয়েদের অভিযোগে খুঁড়েও দেহ পেল না পুলিশ
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2022 | 8:00 PM
Share

নদিয়া: রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটা বিধানসভার অধীনস্থ মোল্লাবেলিয়া পঞ্চায়েতের মাঝের পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত পাল ওরফে আজিজুল মণ্ডল (৩৮)। প্রায় ৪ মাসের বেশি সময় ধরে খোঁজ মিলছিল না তাঁর। যা নিয়ে এলাকায় বাড়ছিল চাপানউতর। এরইমধ্যে মৃতের দুই মেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন মায়ের নামে। তাঁদের সাফ দাবি বাবাকে খুন (Murder) করেছে মা। দেহ পুঁতে রাখা হয়েছে বাড়ির উঠোনে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই স্ত্রী হামিদা বিবিকে আটক করেছে পুলিশ।  

সূত্রের খবর, বিয়ের পরই নাম বদলে গিয়েছিল সুশান্ত পালের। নতুন নাম হয়েছিল আজিজুল মণ্ডল। অভিযোগ, সম্প্রতি বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আজিজুলের স্ত্রী হামিদা বিবি। এ নিয়ে প্রায়শই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলাও হত। তারপরও সম্পর্ক থেকে বেরোতে দেখা যায়নি হামিদা বিবিকে। উল্টে ফল হয়েছিল উল্টো। হামিদা বিবি ও তাঁর বন্ধু মিলে আজিজুলের উপর অত্যাচার শুরু করে। প্রায়শই তাঁকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি সেই অত্যাচার চরমে ওঠে। কিছুদিন আগে হামিদা বিবি ও তার বন্ধু  মিলে আজিজুল মণ্ডলকে মাথায় আঘাত করে। মৃত্যুর পর তাঁকে বস্তা দিয়ে পেঁচিয়ে পুঁতে রাখা হয় তার নিজের বাড়ির পিছনের উঠোনে। এদিকে ঘটনার কথা জানতেন মেজ মেয়ে রূপালি খাতুন। 

যদিও শুরুতে সে মুখ না খুললেও সম্প্রতি দিদির কাছে সব খুলে বলে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বাপের বাড়ি আসেন বড় মেয়ে মুসলিমা খাতুন। তখনই তাঁর কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন রূপালি। এরপরই তাঁরা হরিণঘাটা থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশকে তাঁরা জানান তাঁদের বাবাকে খুন করেছেন তাঁদের মা। পুঁতে রাখা হয়েছে বাড়ির উঠোনে। এরপরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শুরু হয় খোঁড়াখুড়ি। যদিও সেখান থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। রূপালি খাতুনের দাবি, আঁচ পেয়েই আগে থেকে বাবার দেহ সরিয়ে ফেলেছে মা ও তাঁর বন্ধু সমীর ঘোষ। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে হামিদা বিবিকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার মূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। একইসঙ্গে খোঁজ চলছে সমীর ঘোষের। 

ঘটনা প্রসঙ্গে রূপালি খাতুন বলেন, “আমার বাবাকে মা-ই মেরেছে। ওই লোকটাও যুক্ত রয়েছে। পুলিশ এসেছিল। আমার যে জায়গাটা সন্দেহ সেটা দেখাই। সেখানে কিছু পায়নি। মনে হয় লাশটা অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়েছে।” বড় মেয়ে মুসলিমা খাতুন বলেন, “আমার আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। আমি ও আমার বোন দুজনেরই মনে হয়েছিল বাবাকে খুন করে ওখানে পুঁতে রাখা হয়েছে। কিন্তু, খোঁড়ার পর কিছু পাওয়া যায়নি। তবে বোন ওই জায়গায় লাশ রাখতে দেখেছিল মাস চারেক আগে। আমরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। আমরা মা ও মায়ের সঙ্গে থাকা সমীর ঘোষ নামে ওই ব্যক্তির শাস্তি চাইছি।”