Nadia Child death: রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন মা, চোখ সরাতেই মুহুর্তের মধ্যেই পুড়ে গেল ৩ বছরের শিশু
Nadia Fire: পরিবার সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম আর্জু শেখ (৩)। অন্যদিকে ওই মহিলা হলেন মারুফা বিবি। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আর্জুকে প্রথমে করিমপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
করিমপুর: বাড়িতে এসেছিল অতিথি। সেই কারণে রান্না করছিলেন মহিলা। তিন বছরের ছোট্ট শিশুটি আশেপাশেই খেলা করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বদলে গেল গোটা পরিস্থিতি। গায়ে আগুন লেগে পুড়ে শেষ হয়ে ছোট্ট এই প্রাণ। পাশাপাশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন মহিলাও। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার করিমপুরে।
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম আর্জু শেখ (৩)। অন্যদিকে ওই মহিলা হলেন মারুফা বিবি। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আর্জুকে প্রথমে করিমপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে ভর্তি করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরও শেষটুকু রক্ষা করা যায়নি। চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
জানা গিয়েছে, আর্জুর বাড়ি করিমপুর থানার অন্তর্গত নাটনায়।দুঃস্থ পরিবার। ফলত আলাদা ভাবে কোনও রান্নাঘর নেই বললেই চলে। শুক্রবারদিন বাড়িতে অতিথি এসেছিল তাঁদের। আর্জুর মা অর্থাৎ ফারুকা বিবি রান্না করছিলেন। সেই সময় আশেপাশেই শিশুটি খেলা করছিল। হঠাৎ কোনও ভাবে উননের আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে খড়ের চালে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে মাটির বাড়িটি। অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুড়ে যায় আর্জু ও মারুফা। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শিশুটির মায়ের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
এক এলাকাবাসী বলেন, “ওদের বাড়িতে লোকজন এসেছিল। প্রতিদিনের মত দুপুরে রান্না করছিল। বাচ্চাটি পাশেই খেলা করছিল। গরিব পরিবার আলাদা করে কোনও রান্নাঘর নেই। হঠাৎ আগুনের ফুলকি গিয়ে লাগে চালে। আর তার থেকেই অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার পর বাচ্চাটি বেরোতে পারেনি। অনেক কষ্টে বের করা হয়েছিল তাদের। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবশেষে রক্ষা করা যায়নি প্রাণ।”