নদিয়া: জলের জন্য রীতিমতো হাহাকার নদিয়ায়। ৭-৮ দিন ধরে জল না পেয়ে পথে নামলেন এলাকার মহিলারা। শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সেই অবরোধ। বাঁশ বেঁধে রাস্তা আটকে দেন তাঁরা। বন্ধ করে দেওয়া হয় অঙ্গনওয়াড়ির রান্নাও। তাঁদের দাবি, পুরসভা তথা প্রশাসনের তরফে জলের সমস্যা সমাধানের কথাও জানানো হচ্ছে না।
নদিয়ার চাঁদুড়িয়া, শিমুরালি ও রাউতাড়ি জিপির বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত সাতদিন ধরে চাকদহ ব্লকে ওই সব এলাকা জলশূন্য অবস্থায় রয়েছে। শিমুরালি জিপির শিমুরালি স্টেশন থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দিকে যেতে কালীতলায় গ্রামের মহিলারা মূল রাস্তার ওপর বাঁশ বেঁধে পথ অবরোধ করেন এদিন। তাঁদের দাবি, জলের অভাবে অঙ্গনওয়াড়িতে ছোট ছোট শিশুদের রান্না বন্ধ। পানীয় জল না থাকায় বেশি দাম দিয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে।
সুলগ্না নন্দী নামে এক মহিলা জানান, জলের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তাঁর অভিযোগ, এলাকায় অনেক পুকুর ভরাট করে দেওয়া হয়েছে, কোন টিউবওয়েল নেই পঞ্চায়েত এলাকায়। তিনদিন ধরে যে রান্না হচ্ছে না, সেদিকেও পঞ্চায়েতের কোনও নজর নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে চাকদহ পুরসভা বসে বসে মজা নিচ্ছে। জনগণকে সজাগ করতে মাইকে বলা উচিত ছিল বলেও মনে করেন তিনি।
অঙ্গনওয়াড়ির সহায়িকা সুনীতা পাল বলেন, জলের জন্য রান্না করতে পারছি না। বাচ্চাদের মুখে কী তুলে দেব, বুঝতে পারছি না। একই অবস্থা চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির ৯১/২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। গত সাত দিন জল না পেয়ে পঞ্চায়েত সদস্য সাগর বারুইকে এলাকার বাসিন্দারা ঘেরাও করেন।
রাস্তা সম্প্রসারণে জন্য একের পর এক পাইপ জেসিবি দিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। ফলে পুরো চাকদহ ব্লক জলশূন্য হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার পিএইচই আধিকারিক একটি চিঠি দেন ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে। পিএইচই আধিকারিক জানান, দরাপপুর, বল্লভপুর, চৌগাছা অঞ্চলে গঙ্গার পরিশ্রুত জল দেওয়া হয়েছে, যেহেতু ওই দিকের পাইপ লাইনটা ঠিক আছে। জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।