বসিরহাট: বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে বিপত্তি। বিএসএফ-এর হাতে গ্রেফতার ৮ বাংলাদেশি।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। বুধবার ভোররাতের ঘটনা। সেখানে তিন মহিলা ও পাঁচজন পুরুষ সহ সীমান্তে ঘোরাঘুরি করছিল। সেই কর্তব্যরত ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সন্দেহ হয়। জওয়ানরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় তাঁরা সকলে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না। বিএসএফএর নজর এড়িয়েই এরা অনুপ্রবেশ করতে চাইছিল। প্রত্যেকের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় মোট ১২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। ধৃত আট বাংলাদেশিকে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
বারবার অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএসএফের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছে। সীমান্ত সুরক্ষায় এতো নিরাপত্তা সত্বেও কেন বারবার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশ ঘটছে? তাই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে।
বস্তুত, কয়েকদিন আগে বসিরহাট জেলার স্বরূপনগর সীমান্তে বিএসএফের ১১২নং নাগা ব্যাটলিয়নে কর্মরত অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের ইন্সপেক্টর আদিত্য নারায়ণ সোমবার রাতে হাকিমপুর সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। সে সময় দেখতে পান সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সন্দেহজনক ভাবে ওই মহিলা ঘোরাঘুরি করছেন। মহিলার কথায় উঠে আসে মানব পাচারের আরও এক চক্রের কথা। মহিলার বাড়ি বাংলাদেশের যশোহর জেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামে। তাঁকে আটক করে হাকিমপুর বিওপি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।
যারা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মানব পাচার প্রতিরোধের কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। সংগঠনের কর্মী আরিফ বিল্লা গাজি, বিএসএফ-এর ইন্সেপেক্টর আদিত্য নারায়ণ, কোম্পানি কমান্ডার দামান সিং যাদব ও বিএসএফের অন্যান্য আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জানা যায়, গত দু’মাস আগে রাজু নামক এক যুবক কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁকে মুম্বাইয়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই বধূকে এক নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে তাঁকে সেখানেই আটকে রাখা হয়। কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।