Bagda: চিরঞ্জিত এমন কাজ করতে পারেন ভাবেননি কেউ!
Bagda: উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার মনোহরপুরের বাসিন্দা বছর তিরিশের চিরঞ্জিত বৈরাগী। তাঁর সঙ্গে প্রেম প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ভবানীপুরের পুলিশে চাকরিররত মেয়ে সরস্বতী দাসের।

বাগদা: দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। তা ভেঙে অন্য জায়গায় বিয়ে হচ্ছে প্রেমিকার। এরপরই নিয়ে নিল বড় সিদ্ধান্ত। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা যুবকের। মৃতদেহ নিয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ যুবকের প্রতিবেশীদের। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালো পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকার মনোহরপুরের বাসিন্দা বছর তিরিশের চিরঞ্জিত বৈরাগী। তাঁর সঙ্গে প্রেম প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ভবানীপুরের পুলিশে চাকরিররত মেয়ে সরস্বতী দাসের। যুবকের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ ষোলো বছর ধরে এই যুগলের প্রেম ছিল। চিরঞ্জিতের একাধিকবার বিয়ে ঠিক হলেও, সরস্বতী তাঁকে বিয়ে করতে দেননি। সম্প্রতি সরস্বতীর বিয়ে ঠিক হয় বনগাঁয়। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের আশীর্বাদ হয়।
চিরঞ্জিত বাইরের রাজ্যে কাজে গিয়েছিল। সেখান থেকে শনিবার রাতে বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর আজ ভোরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি জানাজানি হতেই চিরঞ্জিতের প্রতিবেশীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সরস্বতীর বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। ভাঙচুর করা হয় বাড়ির আসবাবপত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা থানার পুলিশ। পুলিশের আশ্বাসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
চিরঞ্জিতের মা পূর্ণিমা বৈরাগী বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ওই মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের প্রেম ছিল। ছেলের একাধিকবার বিয়ে ঠিক হলেও বিয়ে করতে দেয়নি ওই মেয়ে। আমার একমাত্র সম্বল ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমি চাই ওই মেয়ের শাস্তি হোক ফাঁসি হোক।”
অন্যদিকে সরস্বতীর বাবা নিকুঞ্জ দাস দাবি করেছেন, চাকরি পাওয়ার আগে মেয়ের সঙ্গে চিরঞ্জিতের সম্পর্ক ছিল। এখন আর নেই। একই সঙ্গে তিনি জানান, “সকালে কয়েকজন লোক এসে আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই যুবকের মৃতদেহ নিয়ে এসেছিল ওরা। পরবর্তীতে পুলিশ এসে উদ্ধার করেছে।”

