Basirhat Arrest: ‘তোদের মাথায় কী আছে রে?’ ২ ডাকাতের পকেট থেকে পিস্তলটা উদ্ধার হতেই হাসতে হাসতে চেয়ারে বসে পড়লেন পুলিশ কর্তারা
Basirhat Arrest: ওই দুই যুবকের চলাফেরা ও গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা তাঁদের আটক করেন। তল্লাশি চালাতেই তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি খেলনা পিস্তল।

বসিরহাট: ‘অপারেশন’ তখনও কার্যকরী হয়নি। রাস্তায় ইতঃস্তত ঘুরছিলেন দুই যুবক। দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে টহলদারি পুলিশ কর্মীরা। সেখানেও অসঙ্গতি থাকায় একেবারে ধরে থানায় নিয়ে আসা হয়। তল্লাশি চালাতে পকেট থেকে উদ্ধার হয় পিস্তল। কিন্তু এ কী! এই পিস্তল দেখেই হাসির রোল ওঠে দুঁদে পুলিশ কর্তাদের মধ্যেই। ‘খেলনা পিস্তল নিয়ে কী করছিলি?’বছর কুড়ি-পঁচিশের দুই যুবককে প্রশ্নটা করেই ফেলেন পুলিশ কর্তারা। উত্তর যা আসে, তাতে আরও অট্টহাস্য! খেলনা পিস্তল নিয়ে যে কেউ ডাকাতি করার ছক কষতে পারে, সেটা কর্মজীবনের অভিজ্ঞতায় আগে কখনও হয়নি, বলছেন পুলিশকর্তারাই। খেলনা বন্দুক নিয়ে ডাকাতি করতে গিয়ে এবার শ্রীঘরে ঢুকল দুই যুবক। বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানা এলাকার ঘটনা। রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাল্যের মোড় এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। সেই সময় সেই রাস্তায় টহল দিচ্ছিলেন মাটিয়া থানার ওসি তাপস ঘোষের নেতৃত্বাধীন পুলিশ কর্মীরা।
ওই দুই যুবকের চলাফেরা ও গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা তাঁদের আটক করেন। তল্লাশি চালাতেই তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি খেলনা পিস্তল। যা দেখে স্বভাবতই হকচকিয়ে যান পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা। দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, তাঁরা নাকি সেই খেলনা বন্দুক নিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ডাকাতের ছক করেছিলেন। ধৃত দুই দুষ্কৃতীর নাম রিয়াজ মণ্ডল ও মনোজ কাহার। তাঁদের বাড়ি মাটিয়া থানারই আঁকিপুর ও শীতুলিয়া গ্রামে।
পরে তল্লাশি চালিয়ে আরও একটি আসল ওয়ান শাটার ও একটি আসল গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। দুই দুষ্কৃতীকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু খেলনা পিস্তল উদ্ধারের এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাপা হাসির রোল সৃষ্টি হচ্ছে বসিরহাটের মানুষের মধ্যে।
