Biswajit Das On BJP: ‘বিজেপিতেই আছি’, মুকুল রায়ের পর এবার বিশ্বজিৎ! ফের ভোলবদল বিধায়কের
Biswajit Das On BJP: "আমি এখনও বিজেপিতেই আছি। বিজেপি থেকে জিতেছি। আমি তো অন্য অন্য দল থেকে জিতিনি। বিজেপি থেকে জিতেছি, বিজেপিই রয়েছি।"
উত্তর ২৪ পরগনা: মুকুল রায়ের পর এবার বিশ্বজিৎ দাস। ভোলবদল করে বিজেপি ছেড়েছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। ফের ভোলবদল করে বললেন, তিনি বিজেপিরই বিধায়ক। পৌরসভার নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক মহলে এই ইস্যুতে জল্পনা তুললেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বৃহস্পতিবারই তিনি বলেন, “এই চারটে পৌরসভা নির্বাচনে যে ভাবে এদের পরাজয় হয়েছে, এই গোষ্ঠীকোন্দল এরকম চললে, ভালো মানুষকে ব্যবহার করতে না পারলে এরকমই হবে। বিজেপি তো ব্যবহার করতে পারেননি। বিশেষ করে এখানে সাংসদ যিনি আছেন, তিনি একক ভাবে সব চালাতে চাইছেন। এইভাবে ব্ল্যাকমেলিংয়ের ফর্মুলায় সব চলতে পারে না। আমি এখনও বিজেপিতেই আছি। বিজেপি থেকে জিতেছি। আমি তো অন্য অন্য দল থেকে জিতিনি। বিজেপি থেকে জিতেছি, বিজেপিই রয়েছি।” আর ঠিক এই মন্তব্যেই রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বাড়ছে শাসকদলের অস্বস্তিও।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, কোথায় দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেছেন বিশ্বজিৎ দাস? বারাসত মধ্যমগ্রামের চৌমাথার মোড়ে তৃণমূলের যে পার্টি অফিস রয়েছে, সেখানে বৈঠক সেরে বেরনোর সময়েই বিশ্বজিৎ দাবি করেন, তিনি এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। তাঁর ক্ষোভ মূলত বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ‘একনায়কতন্ত্রের’ অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য চালান। এই কারণেই তিনি বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। অন্তত এমনটাই তিনি বলতে চেয়েছেন, তাঁর মন্তব্য শুনে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে, আবার বনগাঁ ও গোবরডাঙা-এই দুটো পৌরসভায় বিজেপির ভালো ফল করা উচিত। যেভাবে গত বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই এলাকায় ভালো ফল করেছিল বিজেপি। ২২ টা বনগাঁর ওয়ার্ড, তার মধ্যে ২১টাতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। একই সঙ্গে গোবরডাঙাতে ১৭ টা ওয়ার্ডের সঙ্গে ১৫ টা ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে রয়েছেন। এই জাগয়া থেকে বিজেপির দুটো পৌরসভা জেতা উচিত।
একই সঙ্গে বিজেপি ছাড়ার প্রসঙ্গে যখন বিশ্বজিৎ দাসকে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি বলেন, ‘বিজেপিতে আছি।’ আরও স্পষ্ট করে বলেন, “বিজেপি থেকে জিতেছি, বিজেপিতেই রয়েছি।” এবার প্রশ্ন, আসলে তিনি কোন দল করছেন? তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের পার্টি অফিসে বৈঠক করছেন, আবার সেখানে দাঁড়িয়েই বলছেন তিনি বিজেপিতে রয়েছেন। তা নিয়েই চর্চা তুঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় নয়াদিল্লিতে গিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাত ধরে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তখন তাঁর তৃণমূলে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তখন থেকে জল্পনা চলছিল। পরে আবার একুশ সালে সেপ্টেম্বরে তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু এবার তাঁর মন্তব্যে নতুন করে অস্বস্তিতে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: TMC Meeting In Kalighat: কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক, অভিষেক কোন পদে? তুঙ্গে চর্চা