Sandeshkhali: ‘কোনও কথা বলব না সাংবাদিকদের সঙ্গে’, এখনও কিসের ভয় সন্দেশখালিতে?
Sandeshkhali: মুখ্যমন্ত্রী আসছেন শুনে প্রত্যেকের মুখেই এক কথা- দিদির কাছে বাড়ি চাইব। যারা আন্দোলন করেছিলেন, তারাও এখন ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। বাইক বাহিনীর দাপট নেই, পিঠে মার জোটে না, তাই মুখ খুলে পুলিশের ঝক্কি পোয়াতে নারাজ তারা।
সন্দেশখালি: থমথমে সন্দেশখালি, সুপ্ত ভয়ে প্রত্যেকের মুখে কুলুপ। ক্যামেরা দেখে কার্যত পালিয়েও গেলেন অনেকে। এদিকে শাহজাহান, শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পরে বাইক বাহিনীর দাপট কমেছে সন্দেশখালিতে। তবে শুরু হয়েছে মিথ্যা মামলার বাড়বাড়ন্ত। প্রতিবাদ করলেই নাকি বাড়িতে চলে আসছে পুলিশের চিঠি। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীদের। আবাসের ঘর নিয়েও চরম টানাপোড়েন। অভিযোগ শুধুমাত্র তৃণমূল কর্মীরাই পাচ্ছেন আবাসের বাড়ি। এরইমধ্যে বছরের শেষেই সন্দেশখালি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী আসছেন শুনে প্রত্যেকের মুখেই এক কথা- দিদির কাছে বাড়ি চাইব। যারা আন্দোলন করেছিলেন, তারাও এখন ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। আর নতুন করে মুখ খুলে পুলিশের ঝক্কি পোয়াতে নারাজ তারা। একজন ক্যামেরা দেখে বলেই দিলেন, “কোনও কথা বলব না সাংবাদিকদের সঙ্গে।” ভয় পাচ্ছেন? প্রশ্ন শুনে মাথা নিচু! উত্তর, “আর কোনও সমস্যা নেই।”
তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে ঘরের জন্য দরবার করবেন তা বললেন। গ্রামেরই এক মহিলার কথায়, ৫ লাখ টাকা দিতে বলব। ঘর চাই তো একটা। ঘরের সমস্যা তো অনেকদিনের। তবে অন্য কোনও সমস্যা নেই। তবে সন্দেশখালির ‘গোপন’ রোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনও উত্তরই দিতে চাইলেন না। মুখে কিছুটা ভয়ের ছাপ। শুধু বললেন, “আমি ওই সময় ছিলাম না। কিছুই জানি না। দিদি আসুক, ঘরের কথা বলব।” পাড়ার আর এক মহিলা বললেন, “আগের থেকে আমরা এখন অনেক শান্তিতে আছি। গোটা গ্রামে শান্তি আছে। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েছে। আমাদের স্বামীরাও কাজ করতে পারছে। পার্টিতে এখন যাঁরা রয়েছে তাঁরা কোনও সমস্যা তৈরি করছে না।”
এই খবরটিও পড়ুন
তবে শান্তি কী সত্যিই রয়েছে? গ্রামের আর এক বাসিন্দা দোকানে বসে খানিক আক্ষেপের সুরে বললেন, “ওদের দাপাদাপি কমেছে ঠিক। আগে রিভলভার দিয়ে মারতো, এখন কলমে মারছে। হাতে মারছে না, ভাতে মারছে। তোমার যা প্রাপ্য তা থেকে তোমাকে বঞ্চিত করছে। আবাসের ঘর তো যাঁরা তৃণমূল করে তাঁরাই নিয়ে নিচ্ছে। তালিকায় দেখা যাচ্ছে যা টাকা যাচ্ছে তার মধ্যে ২০ জন তৃণমূল, ২ জন মাত্র বিজেপি। ভোট হলে তৃণমূল প্রতিটা বুথে হারবে। মানুষ সব দেখেও ওই ঘর পাবার আশায় মুখ খুলছে না। মিথ্যা কেস তো দিচ্ছেই। আমার নামেই তো সাতটা কেস আছে। আজও আমরা ঘর পাইনি।”