CPIM: ‘বুঝিয়ে দেব কার লাঠিতে কত জোর’, ভোটেগরম বাংলায় ‘চড়াম চড়াম’ ভাষণ বাম নেতার
CPIM in Belgharia: প্রাক্তন বাম বিধায়ক বললেন, 'গুন্ডারাজ এখানে চলবে না। রাজ চলবে পুলিশের এবং পুলিশকে সাধারণ সাহায্য করবে সাধারণ মানুষ।'
বেলঘড়িয়া: সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। ভোটমুখী বাংলায় ইতিমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির পারদ। উড়ে আসছে ঝাঁঝালো আক্রমণ। প্রতি আক্রমণের সুরও চড়ছে। ভোটেগরম বাংলায় এখন তপ্ত রাজনীতির বাতাবরণ। এমনই এক পরিস্থিতিতে এবার শাসকের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুর কামারহাটির (Kamarhati) প্রাক্তন বিধায়ক তথা বাম নেতা মানস মুখোপাধ্যায়ের মুখে। সোমবার বেলঘড়িয়া থানার সামনে এক দলীয় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সিপিএম নেতৃত্ব। সেখান থেকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ককে। প্রাক্তন বাম বিধায়ক বললেন, ‘গুন্ডারাজ এখানে চলবে না। রাজ চলবে পুলিশের এবং পুলিশকে সাধারণ সাহায্য করবে সাধারণ মানুষ।’
এরপরই মানস মুখোপাধ্যায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘যদি তা মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে রাস্তায় নেমে তার মোকাবিলা হবে। যদি সেই মোকাবিলা সাগরদিঘির পথে যায়, বা তার থেকেও খারাপ পথে যায়, সেই পথে যেতে আমরা বাধ্য হব। আমাদের সেই বাধ্য করবেন না। আমরা মোকাবিলা করতে জানি। শুধু পুলিশ নিরপেক্ষ থাকুক, তারপর বুঝিয়ে দেব কার লাঠিতে কত জোর।‘ প্রাক্তন বিধায়ক বললেন, ‘আমরা এখনও সেই রাস্তায় নামিনি। কিন্তু যদি নামতে হয়, তখন বিধায়ক, চেয়ারম্যান, পুলিশ কিংবা মস্তানরা বেলঘড়িয়ার মানুষকে ঠেকাতে পারবে না।’
প্রাক্তন বাম বিধায়কের এই মন্তব্যের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কামারহাটি টাউন সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা। তৃণমূল নেতা বক্তব্য, হতাশা থেকে প্রাক্তন বাম বিধায়ক এই কথা বলছেন। বিশ্বজিৎবাবু বললেন, ‘ওনার কাজই হল হুমকি দেওয়া। যতদিন উনি বেলঘড়িয়া চালাতেন, গুন্ডা নিয়েই চালাতেন। তাঁর থেকে এর থেকে ভাল আর কী আশা করব? মানুষ এর জবাব দিয়ে দেবে।’
বিজেপি নেতা কিশোর করও কটাক্ষ করেছেন মানস মুখোপাধ্যায়কে। এলাকার বিজেপি নেতার বক্তব্য, ‘আজ তৃণমূলের যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তা সিপিএম-এর শেষের দিকেও দেখা গিয়েছে। মানসবাবুর বাহিনীরাই নির্বাচনের সময়ে গোলমালের রাস্তা দেখিয়েছিল। এখন সেই সিপিএম-এর লোকেরাই তৃণমূলে ঢুকে মস্তানি করছে। মস্তানরা নেতা হয়ে গিয়েছে। এর সূত্রপাত মানসবাবুরাই করেছিলেন। তাই তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।’