TMC Clash: গাড়ি রাখাকে কেন্দ্রে করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ পড়ল বিধায়কের রক্তদান শিবিরেও

রবিবার থেকেই গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বিবাদ দুই পক্ষের ঘুনি এলাকায়। অভিযোগ, মহম্মদ আফতাব উদ্দিনের অনুগামীকে মারধর করে শাহ আলম ও তাঁর অনুগামীরা। সেই খবর পেয়ে মহম্মদ আফতাব উদ্দিন এবং তার অনুগামীরা শাহ আলমের বাড়িতে চড়াও হয়।

TMC Clash: গাড়ি রাখাকে কেন্দ্রে করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ পড়ল বিধায়কের রক্তদান শিবিরেও
জ্যাংড়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2023 | 8:46 AM

জ্যাংড়া: দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। উত্তর ২৪ পরগনার জ্যাংড়া হাতিয়াড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ঘুনি এলাকা এলাকা থাকবে কার দখলে? তা নিয়ে প্রকাশ্যে শাককের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? এক দিকে বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের অনুগামী রাজারহাট নিউটাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আফতাব উদ্দিন। অপরদিকে রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী শাহ আলমের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকে। রবিবার সেই বিবাদ ফের এক বার প্রকাশ্যে এল। গাড়ি রাখাতে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের রক্তদানের মঞ্চে, বিধায়কের উপস্থিতিতেই এই দুই যুবনেতার বাকবিতণ্ডা তা চরমে পৌঁছায় সেই ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

রবিবার থেকেই গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে বিবাদ দুই পক্ষের ঘুনি এলাকায়। অভিযোগ, মহম্মদ আফতাব উদ্দিনের অনুগামীকে মারধর করে শাহ আলম ও তাঁর অনুগামীরা। সেই খবর পেয়ে মহম্মদ আফতাব উদ্দিন এবং তার অনুগামীরা শাহ আলমের বাড়িতে চড়াও হয়। ইটপাথর মারে বলে অভিযোগ। একাধিক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে আফতাব অনুগামীরা। রশিদুল মল্লিক শামীম মল্লিক হাসান মোল্লা সহ একাধিক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে ময়দানে তাপস চট্টোপাধ্যায় নেমে দুপক্ষের ঝামেলার সামাল দেন।

ঘটনা নিয়ে আফতা উদ্দিন বলেছেন, “গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়। আমাদের একটা ছেলেকে মারধর করে শাহ আলম ও তাঁর ছেলেরা।” অন্য দিকে শাহ আলম বলেছেন, “রক্তদান শিবিরের জন্য অনেকে এসেছিল। আফতা উদ্দিনের পাড়ার ছেলেরা এমন ভাবে অটো রাখে, যাতে জ্যাম লেগে যায়। আমরা অটো সরাতে বলি। কিন্তু তাঁরা গালিগালাজ করছিল। সে অন্যয়াও স্বীকার করেছিল। এর পর আফতা উদ্দিন পরে আমার বন্ধুর বাড়িতে এসে ইট পাটকেল ছোড়ে।” যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি উঠতেই তা এড়িয়ে গিয়েছেন এই দুই স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তাঁরা।