Halisahar Blast Case: একা অর্জুন নন! পাশে শুভেন্দু, সিপিএম, হালিশহর বিস্ফোরণকাণ্ডে NIA তদন্তের দাবি
North 24 Pargana: শুভেন্দু ও অর্জুনের মতকে সমর্থন জানিয়েছেন সিপিএম নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, বারবার কেন ভাটপাড়া-ব্যারাকপুর এই চত্বরে এত বিস্ফোরণ হবে? কেনই বা পুলিশ এভাবে নিষ্ক্রিয় থাকবে?
উত্তর ২৪ পরগনা: বিজেপির শুভেন্দু, অর্জুনদের পাশে সিপিএম (CPIM)। হালিশহরের বোমা কাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চান শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিং। তাঁদের সমর্থন সিপিএমের। যথারীতি তীব্র বিরোধিতা তৃণমূলের। হালিশহরে বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে NIA তদন্তের দাবি করেছেন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই নিয়ে জোরাল আপত্তি জানিয়েছেন বিজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। অন্যদিকে বিজেপির NIA তদন্তের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন সিপিএম নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। এর আগে অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন। তখনও বিস্তর রাজনৈতিক তরজা হয়।
বিজেপি ও সিপিএমের দাবি
ব্যারাকপুর সাংসদের কথায়, “আগেও আমার বাড়িতে বোমাবাজি করা হয়েছিল। এ বার সরাসরি বোম মেরে মানুষ মারছে। তৃণমূলের লোকজন এইসব সন্ত্রাস চালাচ্ছে। নিজেদের ক্ষমতা জাহির করছে। কেন বোমাবাজি হল তা তদন্ত করুক এনআইএ।” একই সুর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। তাঁর মন্তব্য, “গোটা রাজ্যটাই বোমাবারুদের স্তূপে বসে রয়েছে। কেন বিস্ফোরণ হল, তা তদন্ত করে দেখা হোক। এনআইএ তদন্ত করুক।”
শুভেন্দু ও অর্জুনের মতকে সমর্থন জানিয়েছেন সিপিএম নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, বারবার কেন ভাটপাড়া-ব্যারাকপুর এই চত্বরে এত বিস্ফোরণ হবে? কেনই বা পুলিশ এভাবে নিষ্ক্রিয় থাকবে? নিরপেক্ষ তদন্তের সুবাদে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন গার্গীও।
তৃণমূলের দাবি
যদিও, বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূলের দাবি, বিট্টু জয়সওয়াল নামে যে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে সাংসদের ঘনিষ্ঠ। তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, “অর্জুন সিং এখানে একটা গোষ্ঠী চালান। দুষ্কৃতীদের গোষ্ঠী। বিট্টু সেই দলের। সাংসদের প্রশ্রয়েই এখানে দুষ্কৃতী হামলা বাড়ছে।”
তৃণমূলের ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘বিট্টুর বাড়ি লাগোয়া ওই জমিতে বিজেপি-র দুষ্কৃতীদের একটি ঠেক রয়েছে। ওরা বোমা তৈরি করে মাটির তলায় পুঁতে রেখেছিল। তা থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর অভিযোগ, ব্যারাকপুরের সাংসদই এই বিস্ফোরণকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন। এনআইএনের তদন্তে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না বলেই দাবি বিধায়কের।
ঠিক কী হয়েছিল?
বৃহস্পতিবার হালিশহরের কোনা মোড়ে জগন্নাথ ঘাটে আচমকা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ওইদিন ঘাটের সামনে খেলছিল কয়েক জন শিশু। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আচমকাই বিকট শব্দ শোনা যায়। দেখা যায়, যে সব শিশু ওই এলাকায় খেলছিল তাদের মধ্যে তিন জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেকেই গুরুতর আহত।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সুমিত সিংহ নামে এক যুবকের মৃত্য়ু হয়েছে। ওই যুবকের দেহ বিস্ফোরণের জায়গা থেকে প্রায় কুড়ি ফুট উপরে একটি গ্যারাজের চালে এসে পড়েছিল। সেখান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কমিশনারের কথায়, ‘‘যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, তার পাশেই একটি ক্লাব আছে। বিট্টু জায়সওয়াল নামে এক জনের বাড়িও সেখানে। বিট্টুর নামে অনেক অভিযোগ আছে। বিস্ফোরণে এক জন মারা গিয়েছেন। নিখোঁজদের খোঁজ করা হচ্ছে। কিন্তু সবার আগে আমরা জোর দিচ্ছি ফরেন্সিক পরীক্ষায়। তাতে তদন্তে সুবিধা হবে।’’ উল্লেখ্য, বিট্টুকে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত লোকসভা নির্বাচনের পরে ব্যারাকপুরের চিড়িয়ামোড়ে এই বিট্টুকেই এক সাংসদের গাড়ি থেকে নামিয়ে আটক করেছিলেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর।