‘শরীরের একাধিক অভ্যন্তরীণ আঘাত, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ’, নিমতার প্রহৃত বৃদ্ধার ডেথ সার্টিফিকেটে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিমতায় 'প্রহৃত' সেই বৃদ্ধার (Nimta Case) ডেথ সার্টিফিকেটে উঠে এলে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

'শরীরের একাধিক অভ্যন্তরীণ আঘাত, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ', নিমতার প্রহৃত বৃদ্ধার ডেথ সার্টিফিকেটে চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিমতার 'প্রহৃত' বৃদ্ধার ডেথ সার্টিফিকেট
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2021 | 4:45 PM

নিমতা: শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাত, তার জেরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছিল বৃদ্ধার। ভোরে আরও একবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু। নিমতায় ‘প্রহৃত’ সেই বৃদ্ধার (Nimta Case) ডেথ সার্টিফিকেটে উঠে এলে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যাটাকের জেরেই মৃত্যু হয়েছে নিমতার পাটনা ঠাকুরতলার আশি বছরের বৃদ্ধা শোভারানি মজুমদারের। তবে এর পাশাপাশি ডেথ সার্টিফিকেটে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় অভ্যন্তরীণ আঘাত। তার জেরে বৃদ্ধার শরীরের নানা অঙ্গ বিকল হয়ে যায়। এক মাসের আঘাত তিনি সহ্য করতে পারেননি। ট্রমা ছিল। তার জেরে সোমবার সকালে আরও একবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। আর তার জেরেই মৃত্যু।

বিজেপি প্রথম থেকেই এই ঘটনায় অভিযোগ করছিল, বেপরোয়া মারধরেই মৃত্য়ু হয়েছে ওই মহিলার। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সকালে প্রথমে বাংলায় টুইট করেন অমিত মালব্য। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলার মেয়ে, কারোর মা, কারোর বোনের আজ মৃত্যু হল। তৃণমূলের লোকেরা নৃশংসভাবে তাঁকে মারধর করেছিল। সহানুভূতি জানিয়ে এক শব্দও ব্যয় করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিবারের ক্ষত কে পূরণ করবে? ”

এরপর টুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলায় মৃত্যু হল বাংলার মহিলার।” তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে নিমতায় দেহ নিয়ে মৌন মিছিল বার করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ। পরে নিমতা থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা কর্মীরা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করা না হলে আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ‘সবই তো ওরা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়, নিমতা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত’, দাবি বিজেপির

এদিকে,  এ বিষয়ে মুখ খুলেছে তৃণূমল শিবিরও। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিজেপি যেভাবে রাজনীতি করছে, যেভাবে ডেথ সার্টিফিকেট লিখছে। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি দুঃখজনক। পরিবার বলেছিল মৃত্যুতে রাজনীতি নেই। তারপরেও অবসাদে মৃত্যু হলেও রাজনীতি করছে বিজেপি। ভাবছে মিথ্যে রটনাকে চালিয়ে দিয়ে রাজ্যের মানুষের সহানুভূতি পাবে। মানুষ ওত বোকা নয়। ইসি নিশ্চয় ধৃতরাষ্ট্র নয়, আশা করব ন্যায়বিচার হবে।”

সৌগত রায় বলেন, “এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি প্রথম থেকেই অনেক হইচই করছে। যে কারোর মৃত্যুই দুঃখজনক। বয়সজনিত কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। সব বিষয়ে রাজনীতি করাটা বাজে ব্যাপার।” টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও।

ডেরেক ও’ব্রায়েনও বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু কয়েকজন পর্যটক সেটাকে নিয়ে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে আর বিষয়টা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।” বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, “বিজেপি নারী নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে! কিন্তু ওদের রেকর্ড কী বলছে?”