Sandeshkhali: নির্যাতিতাদের অভিযোগের মান্যতা মিলল স্যাটেলাইট ইমেজে! প্রকাশ্যে এল শাহজাহানের নোংরামোর ছবি, দেখুন

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 08, 2024 | 3:28 PM

Sandeshkhali: কোটি কোটি টাকা আয়ের জন্য শাসকদলের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে কৃষকের জমি দখল করেছেন শাহজাহান-শিবু। আর শাহজাহান-শিবুর লুঠ-মডেলের জ্বলন্ত দলিল হল স্যাটেলাইট ইমেজ।

Sandeshkhali: নির্যাতিতাদের অভিযোগের মান্যতা মিলল স্যাটেলাইট ইমেজে! প্রকাশ্যে এল শাহজাহানের নোংরামোর ছবি, দেখুন
সন্দেশখালিতে শাহজাহান শিবু হাজরার নোংরা কীর্তির ছবি
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

সন্দেশখালি: এতদিন শুধু চেঁচিয়ে গলা ফাটিয়েছেন গ্রামবাসীরা। একের পর এক অভিযোগ, নারকীয় অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু এবার সেই অভিযোগের মান্যতা দিল উপগ্রহের চিত্র।  চাষ জমি দখল করে ভেড়ি বানানোর চিত্রনাট্য। শাহজাহান-শিবুদের দখলদারি সাক্ষী স্যাটেলাইট ইমেজ। বছর দুই আগের ইমেজের সঙ্গে এখনকার ইমেজের আকাশ পাতাল ফারাক। সবুজ জমি মাত্র একুশ মাসে দিগন্ত বিস্তৃত ভেড়ি। ফসলি জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি বানানোর পথে যাঁরা পথের কাঁটা হয়েছিলেন, তাঁদের কপালে জুটেছে কোদালের-বেড়ের পালিশ।

সেরকমই একজন সন্দেশখালির বাসিন্দা কৈলাশ সর্দার। তিনি বলেন, ” জমিতে নোনা জল ঢোকানোর প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন  আমার বউকে বাড়ি থেকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তখন আমি আর কী করি। আমি কী আর ওদের সঙ্গে মারামারি করতে পারি। আমাকে বলে চলো বাইকে ওঠো। শিবু তো তখন অফিসে বসেছিল, আমাকে সেখানেই নিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৬ মাস বাড়িতে বসে ছিলাম।”

সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা আয়ের জন্য শাসকদলের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে কৃষকের জমি দখল করেছেন শাহজাহান-শিবু। আর শাহজাহান-শিবুর লুঠ-মডেলের জ্বলন্ত দলিল হল স্যাটেলাইট ইমেজ। দখলের মডেলের জেরে সন্দেশখালির চাষিদেরও হতে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক। চাপের মুখে জমি দিয়েও মেলেনি বিঘা পিছু ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। পেটের কথা ভেবে মুখ খুললে জুটেছে মার।

২০১১ সালে এই জমি ছিল শস্য শ্যামলা

গোটা নির্যাতনের ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহতেই। সেই উপগ্রহের চিত্র এসেছে সংবাদমাধ্যমের হাতে। সেটাই বলে দিচ্ছে, আজ এতদিন পর কেন সন্দেশখালির মানুষ রাস্তায় বাঁশ-লাঠি নিয়ে নেমেছেন। কেন জমি ফেরতের দাবিতে আজও চলছে আন্দোলন। ৮ নম্বর মাঝেরপাড়াতেই স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছে, পুরো এলাকাই ছিল শস্য-শ্যামলা। কিন্তু ২০২৪ সালের ছবিতে ধরা পড়েছে, শেষ ২ বছরে তা পুরোটাই জলাশয়। ২ বছরের ছবিতে আকাশপাতাল ফারাক।

২০২২ সালের পর থেকে চিহ্নিত জমিগুলি মাছের ভেড়িতে পরিণত হয়েছে

 

গ্রামের এক চাষির কথায়, “তাঁরা মনে করলেন, মাছ চাষে অনেক বেশি লাভ। আর ভাবল এটা তো আদিবাসীদের জমি। ভয় দেখিয়ে সহজেই নিয়ে নেওয়া যাবে। জোর করে দখল করে টাকা দিল না। কেউ জমি না দিলে, জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দিত। মাছের ভেড়িতে তো বাঁধ দিচ্ছে জেসিবি। এখন কাজ খুঁজতে যেতে হচ্ছে কলকাতায়।” সন্দেশখালির বাসিন্দাদের অনেকেই আজ বাধ্য হয়ে ভিন রাজ্যের শ্রমিক।

সেই প্রথম দিন থেকে, যেদিন বাঁশ-লাঠি নিয়ে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া বাজারে রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার নির্যাতিতারা, সেদিন থেকে তাঁরা গলা ফাটিয়েছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, কীভাবে তাঁদের ওপর জুলুম হয়েছে। কীভাবে তাঁদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে জমি লুঠ হয়েছে, কীভাবে কথা না মানলে তাঁদের ওপর চলেছে শারীরিক নির্যাতন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। শাহজাহান শিবুরা আজ গারদের পিছনে। কিছু মানুষ তাঁদের জমি ফেরতও পেয়েছেন। কিন্তু যাঁদের জমিতে ঢুকেছে নোনা জল, তাঁদের কী হবে! উত্তর এখনও অধরাই।

Next Article