পানিহাটি: দলের উচ্চ নেতৃত্বর তরফে বারংবার বলা হয়েছে ‘তৃণমূল কখনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।’ তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। আর্থিক দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের জন্য এবার পানিহাটির তৃণমূল যুব সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্যকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন দুই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তুনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল বহিষ্কার করে। সেই ঘটনার দু’দিনের মাথায় আবারও এক যুবনেতাকে বিতাড়িত করা হল তৃণমূল থেকে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই পানিহাটি পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্যের নামে আর্থিক দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের অভিযোগ আসছিল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীদের। সেই জায়গা থেকে দলের স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য তৃণমূল যুব সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্যকে দল থেকে বহিষ্কার করল বলে পানিহাটি তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর।
সোমনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে পানিহাটি পৌরসভা এলাকায় সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল একাধিকবার। দল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি পানিহাটি পৌরসভার চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয় এই তৃণমূল যুব সভাপতিকে। এই বিষয়ে উত্তর পানিহাটি যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থ চৌধুরী বলেন, “দলের উচ্চ-নেতৃত্বের কাছে ওনার নামে অনেক অভিযোগ উঠছিল। কোনও কর্মসূচিতে থাকতেন না। এমনকী ওনার নামে অনেক টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠছিল। এর আগে বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় তাঁকে দফতর থেকে সরিয়ে দেন। লাগাতার অভিযোগের জেরেই ওনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।”
বিষয়টিকে নিয়ে চরম কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর জানিয়েছন, রাজ্যে যেভাবে দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িয়ে যাচ্ছে সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে দলের মধ্যে যে স্বচ্ছতা আছে তা মানুষের মধ্যে প্রমাণ করতেই এই ধরনের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত।