Jyotipriya Mallick: বিয়ে থেকে চায়ের দোকানে আড্ডা, সিপিএম-এর ‘ছোঁয়া’ এড়াতে বলে বিতর্কে জ্যোতিপ্রিয়
Jyotipriya Mallick: শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা এক নম্বর ব্লক অফিসে দুয়ারে ডাক্তার পরিষেবা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
হাবরা: সিপিএম-কে (CPM) সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বামেদের সঙ্গে না চলার পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী। তাঁর নিদান, কোনও সিপিএম নেতা বা কর্মীর সঙ্গে চা দোকানে না বসাই ভাল। এমনকী সিপিএম কর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কও এড়িয়ে চলতে বললেন তিনি।
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা এক নম্বর ব্লক অফিসে দুয়ারে ডাক্তার পরিষেবা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, “সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে। এদের কিছু হবে না। যেই মুখগুলিকে দেখছেন। সেগুলো পচে গিয়েছে। নতুন মুখ চাই।” খানিকটা তাচ্ছিল্যের সুরে মন্ত্রী বলেন, “২০১১ সালে আমি স্লোগান দিয়েছিলাম বলেছিলাম যে সিপিএম-এর সঙ্গে চলব না, বৈবাহিক সম্পর্ক করব না, তারা কোনও বিয়ে বাড়ি গেলে যাব না, চা দোকানে গিয়ে গল্প করব না। এই স্লোগান আজকে খুব প্রযোজ্য। আমি ওদের সঙ্গে চলা পক্ষপাতি নই।”
এরপর সিপিএম-কে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা বলেন, “এরা যা করে গেছে তা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে শুনতে পাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি প্রতিটি দফতরের তদন্ত করেন তাহলে ওদের কী অবস্থা হবে বুঝতে পারছেন। সবে তো শুরু। শিক্ষা দফতর থেকে শুরু হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তাবড়-তাবড় তৃণমূল নেতাদের। বিরোধীদের গ্রুপ সি থেকে গ্রুপ ডি চাকরি বাতিলের তালিকায় যে সকল প্রার্থীরা রয়েছেন তাঁদের অধিকাংশই তৃণমূল নেতা কিংবা তাঁর ঘনিষ্ঠ। অর্থাৎ কারচুপি করে শাসকদল তাঁদেরই কর্মীদের চাকরি দিয়েছে এমন অভিযোগ বারংবার উঠেছে। তবে ময়দনা ছাড়েনি তৃণমূলও। বামেদের ৩৪ বছরে নিয়োগ দুর্নীতির ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আজ বিস্ফোরক উক্তি করেন তিনি।
বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আজ যে সামাজিক বয়কটের কথা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বনমন্ত্রীকে সমর্থন না করে জানিয়েছেন, “আমি এই কথার সহমত পোষণ করি না।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এই কথা বলে উনি দর বাড়াচ্ছেন। আগে এই কথা বলে দর বেড়েছিল। মাঝে কমে গিয়েছিল। এখন আবার দর বাড়ানোর জন্য এমন বলছেন। সামাজিক বয়কট করার কথা ওরা কেন বলবেন? এটাই ওদের কাজ। কিন্তু মানুষ বুঝে গিয়েছে ওদের।”