Gopalnagar chaos: এলাকা দখলের চেষ্টা, এবার গোষ্ঠী সংঘর্ষে নাম জড়ালো বৃহন্নলাদের!
north 24 pargana: বাড়িতে ছেলে নিয়ে এসে মারধরের অভিযোগ ওঠে আর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
উত্তর ২৪ পরগনা: এলাকা দখলের চেষ্টা। যার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে দুই বৃহন্নলার মধ্যে বচসা। কিন্তু কোনও ভাবেই তা মেটায় অবশেষে চরম পদক্ষেপ। বাড়িতে ছেলে ঢুকিয়ে মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আক্রান্ত এক বৃহন্নলা।
ঘটনাস্থান উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর। সাইলি পাড়ার বাসিন্দা বৃহন্নলা পাখি মাসির সঙ্গে এলাকা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বচসা নদিয়ার বৃহন্নলা বেদনা মাসি, ঝুমা মাসি ও সাধনা মাসির। জানা গিয়েছে, এই দুই পক্ষের মধ্যে এই বচসা আজকের নয়, দীর্ঘদিনের। এলাকা যত বড় হবে তার রোজগার তত বাড়বে সেই কারণেই এই ঝামেলা এমনটাই দাবি।
তবে উত্তেজনা ছড়ায় গতকাল। অভিযোগ, দুপুর পাখি মাসির বাড়িতে বেদানা মাসি ,ঝুমা ও সাধনা মাসী কয়েকজন বহিরাগত যুবককে সঙ্গে নিয়ে এসে ঘরে ঢোকে। এরপর মারধর করে পাখি মাসিকে। মারের চোটে আহত দু’জন বৃহন্নলা ।
বনগাঁর বৃহন্নলা ঝুমুর মাসী জানাই তারা দীর্ঘদিন ধরেই গোপালনগর এলাকায় কাজ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক নদীয়া জেলার কয়েকজন বৃহন্নলা এই এলাকার দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে । এর জেরেই গতকাল এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে তারা গোপাল নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । পুলিশ সূত্রে খবর দুই পক্ষের বিভিন্ন লড়াইয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । সেই অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ ।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বই থেকে আরও একটি বৃহন্নলা অত্যাচারের খবর সামনে আসে। জানা যায়, নবজাতকের খবর পেয়ে সচিন চিতোলের বাড়িতে হাজির হয় কান্নু নামের এক বৃহন্নলা। তার তিন মাসের সন্তানকে আশীর্বাদ করার পর মোটা টাকা দাবি করে সে। কিন্তু টকা দিতে অপারগ সচিন জানায়, করোনার জেরে তার রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই তার।
আর এতেই বিপত্তি। সেই সময় অপমানিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় কান্নু। জানা যায়, কান্নুর আরেক নাম কানাহাইয়া চোঘলে। কিন্তু রাত্রিবেলায় ফের সেই বাড়িতে আরও এক বৃহন্নলাকে নিয়ে হাজির হয় কান্নু। সেই সময় সচিন ও তার স্ত্রী ঘুমচ্ছিলেন।
দুজনের চোখের আড়ালে তাদের সদ্যজাতকে নিয়ে চম্পট দেয় কান্নু ও আর সঙ্গী। বাচ্চাটিকে বাড়ির কাছে একটি জলাশয়ে ছুড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। মারা যায় ছোট্ট শিশুটি। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সচিন। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: Mumbai Fire: স্যামসংয়ের সার্ভিস সেন্টারে ভয়াবহ আগুন! বড় বিপদ টললেও পকেট ফায়ারের সম্ভাবনা