Bombing at Bhatpara: বোমাবাজি, ঝরল রক্ত, অশান্ত ভাটপাড়ায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

Bhatpara: এলাকার লোকজনের দাবি, ইচ্ছা করে ভাটপাড়ায় বারবার ঝামেলা করে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করা হচ্ছে।

Bombing at Bhatpara: বোমাবাজি, ঝরল রক্ত, অশান্ত ভাটপাড়ায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
ফের অশান্ত ভাটপাড়া। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2022 | 10:02 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: ফের ভাটপাড়ায় বোমাবাজির অভিযোগ। সোমবার ভাটপাড়া থানার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এই বোমাবাজি হয়। চারজন বোমার আঘাতে জখমও হন। কাঁকিনাড়া ১০ নম্বর গলিতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয় এদিন। তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এলাকার লোকজন এর প্রতিবাদ করতেই দুষ্কৃতীরা দু’টি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। তাতেই হরেকৃষ্ণ চৌহান নামে ৫৮ বছর বয়সী এক প্রৌঢ় জখম হন। এছাড়া হীরা সাউ, রঘুনাথ চৌধুরী-সহ আরও একজন আহত হন। হরেকৃষ্ণকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে (JNM) পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা গুরুতর। বাকিদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরনো একটি ঝামেলা নিয়ে এদিনের গোলমাল। দোলের দিন পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর এক পরিচিতের ঝামেলা হয়। সোমবার সেই ঝামেলারই রেশ এসে পৌঁছয় ভাটপাড়ায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “একদল ছেলে ঝামেলা করছিল। বাইরে থেকে কয়েকজন মদ খেয়ে এসে হুমকি দিচ্ছিল। বন্দুকও বের করে। এরপরই একজন আটকাতে গেলে তাঁকে মারধর করে।” এলাকার লোকজনের দাবি, একপ্রস্থ ঝামেলার পর বাইরের ছেলেরা চলে যায়। কিন্তু কিছু পরে আবারও ফিরে এসে ইট, পাথর মারতে শুরু করে। পাল্টা পক্ষও পাথর ছুড়তে থাকে। এরপরই শুরু হয় বোমাবাজি।

এলাকার লোকজনের দাবি, ইচ্ছা করে ভাটপাড়ায় বারবার ঝামেলা করে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করা হচ্ছে। এখানে বাইরের লোকজনের উস্কানিও থাকছে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার কোথাও কোনও ঝামেলা ছিল না। বাইরে থেকে মদ খেয়ে একদল ছেলে এসে গোলমাল শুরু করে। বোমাবাজিতে কয়েকজন জখমও হন। একজনকে কল্যাণীতে পাঠাতে হল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়রা চান, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে ভাটপাড়াকে শান্ত করা হোক।

স্থানীয়দের কথায়, একটা সময় ভাটপাড়ার নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকত টোল, পণ্ডিতদের কথা। অথচ এখন যখনই ভাটপাড়া শিরোনামে উঠে আসে, তা হিংসা, বোমাবাজি, সন্ত্রাসের হাত ধরে উঠে আসে। কড়া হাতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করলে এ ধরনের পরিস্থিতি যে চলতেই থাকবে, তেমনটাও বলছেন ভাটপাড়ার মানুষ।