Cyclone Asani: অশনিতে বাড়ছে আতঙ্ক, গোগ্রাসে ইছামতী ‘গিলছে’ একের পর এক কাঁচাবাড়ি
Cyclone Asani: অশনির আতঙ্কে বেশ কিছু পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিকটবর্তী স্কুলে চলে গিয়েছেন। কারণ তাঁরা জানেন না কখন তাঁদের বাড়ি নদী নিয়ে চলে যাবে।
বসিরহাট: চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। এগিয়ে আসছে পূর্ব উপকূলের দিকে। তবে কিছুটা আশার আলো যে পূর্বাভাস অনুযায়ী সাগরেই শক্তি হারাতে চলেছে সে। তবে এরপরও দুশ্চিন্তা কাটছে না ইছামতীর পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে কাঁচা বাঁধ ভেঙে গোটা বাড়িই ভেঙে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। অশনি সঙ্কেতের কারণে আতঙ্কিত সীমান্তের গোটা গ্রাম।
একসময় আমফান, ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড় সামলেছে ইছামতির পাড়ের বাসিন্দারা। তাই আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তাঁদের কাছে আতঙ্কের সম। বিগত দিনগুলির ঝড়ে তাঁরা দেখেছেন চোখের সামনে ইছামতী নদীর পাড়ে কাঁচা বাঁধ ভেঙে গোটা বাড়িই চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। তাই নতুন করে ঝড়ের খবরে স্বস্তিতে নেই এই সকলের মানুষরা।
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের গাছা আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শেষ গ্রাম আখারপুরে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা বেজায় সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। গত পাঁচ বছর ধরে কাঁচা বাঁধ ভেঙে পড়ে রয়েছে। তারমধ্যে কেটে গিয়েছে আমফান, বুলবুল, ফণী ও ইয়াশের মতো একাধিক ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু বাঁধের মেরামতি এখনো হয়নি। বেশ কিছু বাড়ি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। যেগুলি বেঁচে আছে, সেই বাড়িগুলি যে কোনও মুহূর্তে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নদীগর্ভে চলে যাবে। সেই কারণে প্রবল আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এই নদী পাড়ের মানুষজন।
ইতিমধ্যে অশনির আতঙ্কে বেশ কিছু পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিকটবর্তী স্কুলে চলে গিয়েছেন। কারণ তাঁরা জানেন না কখন তাঁদের বাড়ি নদী নিয়ে চলে যাবে। বারবার বসিরহাট মহকুমা জুড়ে বাঁধ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এলাকায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে কাঁচা বাঁধগুলি পুরোপুরি ভেঙে নদীতে চলে গিয়েছে। বাঁধের কোনও অস্তিত্বই নেই। এমনকী সিমেন্টের বস্তা যেগুলি জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধ করার জন্য দেওয়া হয়েছিল সেগুলিও সব নদীতে। কিন্তু সেচ দফতরের আশ্বাসই সার। আখেরে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাঁরা চাইছেন দ্রুত যেন বাঁধ সংস্কার করা হয়। নয়তো আগামী দিনে প্রচুর বাড়ি নদীবক্ষে চলে যাবে।