Kamarhati: পুলিশের বোর্ড লাগানো গাড়িতে ঘুরছেন তৃণমূল কাউন্সিলর, প্রশ্ন করতেই বললেন ‘আমার বর পুলিশ তো’
Kamarhati: এ বিষয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, স্বামীর গাড়িতে স্ত্রী চড়বেন, তাঁকে তো আর না করা যায় না।
ব্যারাকপুর: এলাকায় গাড়ি হাঁকিয়ে ঘুরে বেড়ান কাউন্সিলর। আর সেই গাড়িতে পুলিশের বোর্ড লাগানো থাকে। এই অভিযোগকে সামনে রেখে কামারহাটিতে (Kamarhati Councillor) সরব হয়েছে বিরোধীরা। পুলিশের বোর্ড লাগিয়ে প্রকাশ্যে বেআইনিভাবে গাড়ি নিয়ে চলার অভিযোগ উঠেছে কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। যদিও কাউন্সিলর এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, তাঁর স্বামী পুলিশে কাজ করেন। স্বামীর গাড়ি নিয়ে কখনও কখনও তিনি বেরোন। সেটাকেই ইস্যু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মলা রাই। তাঁর বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের প্রতিক্রিয়া, তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন। তবে কাউকে এভাবে স্বামীর গাড়ি চড়া থেকে বিরত রাখা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রাই প্রায় প্রায়ই পুলিশের বোর্ড লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। পুরসভাতেও আসেন ওই গাড়িতে চেপেই। যদিও নির্মলা রাইয়ের বক্তব্য, “আমার বর পুলিশ তো। ওর ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। তাতেই হয়ত কখনও কখনও আমি বেরোই। তবে যেটা বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। আমি পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়াই এরকম একেবারেই নয়। বরের সঙ্গে কখনও কখনও যাই।”
এ বিষয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “আমি শুনলাম, খবর নেব। তবে ওর বর পুলিশে কাজ করে। আর আমাদের বাংলায় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা এমন, সেখানে বর বউকে বলতে পারে পরের গাড়ি চড়বে না। কিন্তু স্বামীর গাড়িও চড়বে না, এটা তো বলা যায় না। এটা ওকে বলতে আমারও খারাপ লাগবে। তবে ওকে বলে দেব।”
যদিও ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা জয় সাহার কথায়, “রাজ্যে তো এখন গুন্ডা, পুলিশ, নেতা সবই এক। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ তো তৃণমূলের নেতারাই করেন। তাই পুলিশের গাড়িতে কাউন্সিলর চড়বেন, এ আর অপরাধ কোথায়? এখানে তো যা অপরাধ, সবই আমাদের, সাধারণ মানুষের। যারা তৃণমূলের কাছ থেকে স্বচ্ছতা আশা করে।”