Sheikh Hasina-Ayna Ghar: আয়নাঘরে ‘গুম’ করার নির্দেশ দিতেন হাসিনাই! রিপোর্ট হাতে পেলেন ইউনূস, এবার কী করবেন?
Bangladesh Update: ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ যত ব্যক্তি গুম হয়ে গিয়েছেন, তার তদন্ত করতেই ইউনূস সরকার কমিশন গঠন করে। সূত্রের খবর,কমিশনের কাছে ৭৫৮ জনের গুম হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল, তার মধ্যে ৭৩ শতাংশ ফিরে এসেছেন।
ঢাকা: আয়নাঘর। নামটাই আতঙ্ক বাংলাদেশের বহু মানুষের কাছে। আয়নাঘরই কেড়ে নিয়েছে বছরের পর বছর ঘুম। জানালা বিহীন গোপন এই বন্দিশালাতেই নাকি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা বহু মানুষকে ‘গুম’ (উধাও) করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এবার সরাসরি উঠল অভিযোগ। আয়নাঘরে গুম করার পিছনে প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই! এমনটা প্রমাণ পেয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের কাছে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার ইউনূসের কাছে গুম সংক্রান্ত কমিটি যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে আয়নাঘরে গুম করার পিছনে শেখ হাসিনা এবং পূর্বতন সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিক অভিযুক্ত বলেই জানানো হয়েছে। বিগত ১৫ বছর ধরে এই অপরাধ চলেছে। গুম করার নির্দেশ দিতেন শেখ হাসিনাই, এমনটা প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিশন। গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সুপারিশ করেছে কমিশন।
কাদের গুম করেছিলেন হাসিনা?
তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, যে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের গুম হয়ে যাওয়ার পিছনে সরাসরি শেখ হাসিনার হাত ছিল, তারা হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তাদের এমনভাবে গুম করা হয়েছিল যে শনাক্ত করাই কঠিন হয়ে গিয়েছে। গুম হয়ে যাওয়া অনেকে আয়নাঘর থেকে ফিরে আসার পরও অত্যাচারের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি। তাদের মানসিক আঘাত বা ট্রমা রয়ে গিয়েছে বলেই জানান কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনেরও অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ যত ব্যক্তি গুম হয়ে গিয়েছেন, তার তদন্ত করতেই ইউনূস সরকার কমিশন গঠন করে। সূত্রের খবর,কমিশনের কাছে ৭৫৮ জনের গুম হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল, তার মধ্যে ৭৩ শতাংশ ফিরে এসেছেন। বাকি ২৭ শতাংশ অর্থাৎ অন্তত ২০৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনই বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন, যা সংক্ষেপে র্যাব নামে পরিচিত, তা বিলুপ্তির প্রস্তাব দিয়েছে। সন্ত্রাসদমন, মাদক চোরাচালান রোধ ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য গঠন হওয়া এই বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, বেআইনিভাবে আটকে রাখা, গুপ্তহত্যা, এমনকী গুম করায় মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।