AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Asim Sarkar: ভোট লুঠের দাওয়াই লঙ্কার গুঁড়ো বাতলে শিরোনামে কবিয়াল বিধায়ক অসীম

Panchayet Election: আগামী বছর রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। মিটিং-মিছিলে শাসক-বিরোধীদের তরজায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।

Asim Sarkar: ভোট লুঠের দাওয়াই লঙ্কার গুঁড়ো বাতলে শিরোনামে কবিয়াল বিধায়ক অসীম
বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2022 | 7:51 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়িতে কিলো কিলো লঙ্কার গুঁড়ো মজুতের নিদান দিলেন বিজেপি বিধায়ক। হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের এই বক্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে এলাকায়। শাসকদলের বক্তব্য, হিংসার উস্কানি দিচ্ছে বিজেপি। এভাবে ভোট বাক্সে ফয়দা তুলতে চাইছে তারা। রবিবার সন্ধ্যায় গোপালনগর বাজারে একটি পথসভা করে বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান। তার আগে এই পথসভা থেকেই অসীম সরকারকে বলতে শোনা যায়, তৃণমূলের লোকেরা ভোট লুঠের চেষ্টা করবে। তাই এলাকার ভাই-বোনেরা বাড়িতে লাল লঙ্কার গুঁড়ো মজুত রাখুন।

অসীম সরকার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার অর্থাৎ ভোটাধিকারে হস্তক্ষেপ করে। আমি একটা দাওয়াই দিয়েছি। আমার মা এবং ভাইদের আমি বলেছি, আমাদের অত টাকা নেই। আমাদের বোমাও নেই, অস্ত্রও নেই। বলেছি প্রয়োজনে বাড়িতে ৫ কেজি, ১০ কেজি লঙ্কার গুঁড়ো করে রাখবেন। যখন ভোট লুঠেরারা আসবে, তখন লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেবেন, যাতে ওদের চোখ অন্ধ হয়ে যায়। লঙ্কার গুঁড়ো লাগতেই ওরা বাপ বাপ বলে দৌড়বে। কেউ ভয় পাবেন না। ওরা একমাত্র সন্ত্রাসের দ্বারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। মানুষ রুখে দাঁড়ালে ওদের আর কিছুই করার নেই।”

আগামী বছর রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। কিন্তু এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। মিটিং-মিছিলে শাসক-বিরোধীদের তরজায় উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এর আগেও একাধিকবার তৃণমূলর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। বিধানসভা ভবনে দাঁড়িয়ে গান বেধেছেন শাসকবিরোধী। এবার লঙ্কার গুঁড়ো রাখার নিদান। এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “নৈতিক চরিত্রের অধঃপতন হলে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। আগে নিজেদের দেখুক, নিজেরা কী করে। ভোটের আগে তো বিধায়ক, সাংসদদের ধরতে বেরিয়েছিল। এখন বড় বড় কথা।”