Panchayat Elections 2023: মনোনয়ন-পর্ব থেকেই উত্তপ্ত, আজ নজরে ভাঙড়
Arabul Islam: ভাঙড়ের বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের এলাকা পরিদর্শন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আরাবুল।
ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই সংবাদ শিরোনামে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় (Bhangar)। তারপর দিন ঘোষণার পর থেকে ভাঙড়ের উত্তেজনা আরও বেড়েছে। মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে বারবার আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। দু-পক্ষের একাধিক জনের মৃত্যুও হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্যপাল স্বয়ং। এমনকি ভোটের আগের দিন সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়েও সমস্যায় পড়েন ভোটকর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই আজ, শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিনও বিশেষ নজরে আরাবুল-শওকত-নওশাদের ভাঙড়। কেমন থাকবে ভাঙড়ের ভোট-পরিস্থিতি? নিরপেক্ষভাবে ভোট দেওয়া কী সম্ভব হবে? এমনই সকল প্রশ্ন উঠে আসছে। ভোটের প্রাক্কালে TV9 বাংলার মুখোমুখি এই সকল প্রশ্নের জবাব দিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)।
ভাঙড়ে ভোট-পরিস্থিতি কেমন থাকবে?
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, “আমরা ১০০ শতাংশ শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ার পক্ষে। কে অশান্তি করবে সেটা প্রশাসন দেখবে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই।”
ভোট নিয়ে ভাঙড়ের বাসিন্দাদের কী বার্তা দিচ্ছেন আরাবুল?
দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে ভাঙড়ের বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়ারই বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সকলে শান্তিপূর্ণভাবে, গণতন্ত্র বজায় রেখে নিজের ভোট নিজে দিন। বুথে গিয়ে ভোট দিতে কোনও সমস্যা হলে আমাকে জানান।” এরকম কোনও অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন আরাবুল।
এদিন ভাঙড়ের বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসের এলাকা পরিদর্শন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আরাবুল। সম্প্রতি আইএসএফ ও তৃণমূলের সংঘর্ষে দু-পক্ষের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার জন্য আইএসএফ-এর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
ভোট ঘোষণার দিন থেকেই আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে ভাঙড় উত্তপ্ত হলেও অন্য ছবি দেখা গিয়েছে বিধানসভায়। সপ্তাহ খানেক আগে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে বিধানসভার বাইরে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হাসতে দেখা গিয়েছিল এবং দুজনেই সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ ভোট দেওয়ার বার্তা দেন। ভাঙড়ের উত্তপ্ত আবহে দুই দলের বিধায়কের এহেন ছবি সৌজন্যতার নজির হয়ে ওঠে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।