Samik Bhattacharya: মোদীর সামনে তৃণমূলের ‘অস্ত্রে’ ধার দিলেন শমীক

Samik Bhattacharya: বাঙালি অস্মিতা নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা তোপ দেগে শমীক বলেন, "আজকে বাঙালিরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় রয়েছে, দৈনন্দিন জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টিকে দূরে সরিয়ে রাখতে উগ্র বাঙালি প্রাদেশিকতার রাজনীতি করছে।"

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 18, 2025 | 7:23 PM

দুর্গাপুর: বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল। এবার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সেই বাঙালি অস্মিতাকেই হাতিয়ার করলেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে বাঙালি অস্মিতার কথা বললেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি। তৃণমূল যখন ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে, তখন শমীক বললেন, ‘বাংলা ঘরের ছেলেকে ঘরে রাখতে চায়। ঘরের ভাত খাওয়াতে চায়।’ তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সবাইকে রাজনৈতিক রং ভুলে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন তিনি।

দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় শমীক বলেন, “আজকে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচতে চায়। বাংলা পরিত্রাণ চায়। বাংলা মুক্তি চায়। বাংলা ঘরের ছেলেকে ঘরে রাখতে চায়। ঘরের ছেলেকে ঘরের ভাত খাওয়াতে চায়। বাংলার মানুষ শিল্পায়ন চায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন, আপানি আমাদের ১৯৫০-১৯৬০ সালের দুর্গাপুর-আসানসোলকে ফেরান। শিল্পায়নের ব্যবস্থা করে দিন। শিল্প ছাড়া বাঁচার অন্য কোনও পথ নেই। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাংলার মানুষের কাছে আর অন্য কোনও পথ খোলা নেই। তিন ফসলী জমিকে কেড়ে শিল্প গড়ার প্রয়োজন নেই। আমরা ক্ষমতায় এলে ১ বছরের মধ্যে শিল্প করে দেখাব। সমস্ত শিল্পপতিদের অনুরোধ করছি, আর এক বছর অপেক্ষা করুন। আপনি একটা বিনিয়োগ বান্ধব রাজ্য পাবেন। আমাদের সব আছে। টাকা, মেধা, লোকবল, জল, সব আছে। আমাদের বিশ্বের দরজা খোলা আছে।”

বাঙালি অস্মিতা নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা তোপ দেগে শমীক বলেন, “আজকে বাঙালিরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় রয়েছে, দৈনন্দিন জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টিকে দূরে সরিয়ে রাখতে উগ্র বাঙালি প্রাদেশিকতার রাজনীতি করছে। আজকে বাংলার মানুষ সংঘবদ্ধভাবে তার বিরোধিতা করবে। আমরা প্রথমে ভারতীয় তারপর বাঙালি। এই শিক্ষা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্রের শিক্ষা।”

তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করবে সবাইকে রং ভুলে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামিদিনে একটাই মন্ত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আজকের ধর্ম গণতন্ত্র, আর আজকের রাজনীতি উন্নয়ন। এই নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। আমরা নতুন বাংলা চাই। শিল্পের পুনরুত্থান চাই। বাংলার আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমরা বাংলাকে পশ্চিম বাংলাদেশ হতে দেব না। ইসলামিক রিপাবলিক হতে দেব না। তাই সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন করছি, যে যেখানে থাকুন, কাউকে পতাকা ছাড়তে হবে না। যাঁর যা মতাদর্শ হৃদয়ে রাখুন, মস্তিষ্কে রাখুন। কিছুদিনের জন্য দলের রং ভুলুন। তৃণমূলকে আগে সরান। তারপর যে যাঁর দল, রং বেছে নেবেন। সংঘর্ষ নয়। সমন্বয় চাই। দাঙ্গা নয়। শান্তি চাই।”

বাঙালি অস্মিতা নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “বাঙালি অস্মিতা যে বিজেপি বোঝে না, তা এখানকার বাংলাভাষী মানুষ বুঝে গিয়েছেন। বাঙালি অস্মিতা আসে মাথা উঁচু করে বাঁচার মধ্যে। বাঙালি হিসেবে গর্বের মধ্যে। বাংলা ভাষা বলে বুকে যে আনন্দ পাওয়া যায়, সেটাই বাঙালি অস্মিতা। বাঙালির পেটে লাথি মেরেছেন। বাংলাভাষীকে বাংলাদেশি বলেছে বিজেপি। বাংলাকে অর্থনৈতিক অবরোধ করেছেন। বাংলাকে কটূক্তি করছেন। তারপর বলছেন বাঙালি অস্মিতা। বাঙালি অস্মিতা মানুষ পদে পদে বুঝে নেবে।”

 

দুর্গাপুর: বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল। এবার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সেই বাঙালি অস্মিতাকেই হাতিয়ার করলেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে বাঙালি অস্মিতার কথা বললেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি। তৃণমূল যখন ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে, তখন শমীক বললেন, ‘বাংলা ঘরের ছেলেকে ঘরে রাখতে চায়। ঘরের ভাত খাওয়াতে চায়।’ তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সবাইকে রাজনৈতিক রং ভুলে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন তিনি।

দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় শমীক বলেন, “আজকে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচতে চায়। বাংলা পরিত্রাণ চায়। বাংলা মুক্তি চায়। বাংলা ঘরের ছেলেকে ঘরে রাখতে চায়। ঘরের ছেলেকে ঘরের ভাত খাওয়াতে চায়। বাংলার মানুষ শিল্পায়ন চায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন, আপানি আমাদের ১৯৫০-১৯৬০ সালের দুর্গাপুর-আসানসোলকে ফেরান। শিল্পায়নের ব্যবস্থা করে দিন। শিল্প ছাড়া বাঁচার অন্য কোনও পথ নেই। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাংলার মানুষের কাছে আর অন্য কোনও পথ খোলা নেই। তিন ফসলী জমিকে কেড়ে শিল্প গড়ার প্রয়োজন নেই। আমরা ক্ষমতায় এলে ১ বছরের মধ্যে শিল্প করে দেখাব। সমস্ত শিল্পপতিদের অনুরোধ করছি, আর এক বছর অপেক্ষা করুন। আপনি একটা বিনিয়োগ বান্ধব রাজ্য পাবেন। আমাদের সব আছে। টাকা, মেধা, লোকবল, জল, সব আছে। আমাদের বিশ্বের দরজা খোলা আছে।”

বাঙালি অস্মিতা নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা তোপ দেগে শমীক বলেন, “আজকে বাঙালিরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় রয়েছে, দৈনন্দিন জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টিকে দূরে সরিয়ে রাখতে উগ্র বাঙালি প্রাদেশিকতার রাজনীতি করছে। আজকে বাংলার মানুষ সংঘবদ্ধভাবে তার বিরোধিতা করবে। আমরা প্রথমে ভারতীয় তারপর বাঙালি। এই শিক্ষা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্রের শিক্ষা।”

তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করবে সবাইকে রং ভুলে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামিদিনে একটাই মন্ত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আজকের ধর্ম গণতন্ত্র, আর আজকের রাজনীতি উন্নয়ন। এই নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব। আমরা নতুন বাংলা চাই। শিল্পের পুনরুত্থান চাই। বাংলার আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমরা বাংলাকে পশ্চিম বাংলাদেশ হতে দেব না। ইসলামিক রিপাবলিক হতে দেব না। তাই সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন করছি, যে যেখানে থাকুন, কাউকে পতাকা ছাড়তে হবে না। যাঁর যা মতাদর্শ হৃদয়ে রাখুন, মস্তিষ্কে রাখুন। কিছুদিনের জন্য দলের রং ভুলুন। তৃণমূলকে আগে সরান। তারপর যে যাঁর দল, রং বেছে নেবেন। সংঘর্ষ নয়। সমন্বয় চাই। দাঙ্গা নয়। শান্তি চাই।”

বাঙালি অস্মিতা নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “বাঙালি অস্মিতা যে বিজেপি বোঝে না, তা এখানকার বাংলাভাষী মানুষ বুঝে গিয়েছেন। বাঙালি অস্মিতা আসে মাথা উঁচু করে বাঁচার মধ্যে। বাঙালি হিসেবে গর্বের মধ্যে। বাংলা ভাষা বলে বুকে যে আনন্দ পাওয়া যায়, সেটাই বাঙালি অস্মিতা। বাঙালির পেটে লাথি মেরেছেন। বাংলাভাষীকে বাংলাদেশি বলেছে বিজেপি। বাংলাকে অর্থনৈতিক অবরোধ করেছেন। বাংলাকে কটূক্তি করছেন। তারপর বলছেন বাঙালি অস্মিতা। বাঙালি অস্মিতা মানুষ পদে পদে বুঝে নেবে।”