Anubrata Mondal: ১ কোটির লটারি নিয়ে সরাসরি অনুব্রতর জবাব পেতে জেলে পৌঁছল CBI
Anubrata Mondal: লটারি বিক্রেতাদের সঙ্গে আগেই কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই জেলে পৌঁছলেন তদন্তকারীরা।
আসানসোল : ১ কোটির লটারি কীভাবে পেলেন অনুব্রত মণ্ডল? কার কাছ থেকে কিনেছিলেন লটারির টিকিট? সেই প্রশ্নের জবাব এবার সরাসরি বীরভূমের জেলা সভাপতির কাছ থেকেই পেতে চায় সিবিআই। শনিবার সকালে তাই আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। মূলত লটারি-কাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গোয়েন্দারা জেলে পৌঁছেছেন বলে সূত্রের খবর।
৫৪০৪৫- এই লটারি নম্বর থেকেই ১ কোটি টাকার বিজেতা হিসেবে নাম উঠে এসেছিল অনুব্রত মণ্ডলের। গত কয়েকদিন ধরেই সেই লটারি-কাণ্ড নিয়ে তৎপর হয়েছে সিবিআই। শুক্রবার দিনভর লটারির সঙ্গে যুক্ত, এমন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁরা কেউই অনুব্রতকে লটারির টিকিট বিক্রি করার কথা জানাননি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে, তাঁরা জানিয়েছেন, অনুব্রতকে টিকিট বিক্রি করেননি তাঁরা। তাহলে কীভাবে ওই টিকিট গেল অনুব্রতর কাছে? তিনি কি মাঝে মধ্যেই এমন টিকিট কিনতেন? নাকি এসবই আসলে কালো টাকা সাদা করার কৌশল? এই প্রশ্নই সামনে আসছে।
জানা গিয়েছে, টিকিটটি কেনা হয়েছিল বীরভূমের নাহিনা গ্রাম থেকে। বোলপুরে টিকিট না কিনে নাহিনা থেকে কেন কেনা হল, সেই প্রশ্নও উঠেছে। বোলপুর থেকে নাহিনা গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার।
শনিবার সে বিষয়েই অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হবে বলে সূত্রের খবর। জেলে বসেই উত্তর দিতে হবে তাঁকে। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল ৮৫ দিনের বেশি রয়েছেন এই সংশোধনগরে। এদিন গরু পাচার মামলার আইও বা ইনভেস্টিগেশন অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য সহ চার প্রতিনিধি দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন দুপুর ১২ টা নাগাদ।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই এক লটারি সংস্থার একটি ওয়েবসাইটে ১ কোটি টাকার লটারি প্রাপক হিসেবে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির নাম সামনে আসে। সে বিষয়ে আগে কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত। প্রায় ১০ মাস পরে সেই লটারি-কাণ্ডের তদন্তে নেমেছে সিবিআই।