AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kazi Nazrul University: উপাচার্যের বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ, অপসারণের দাবি তুলল খোদ তৃণমূল সমর্থিত ওয়েবকুপা

Kazi Nazrul University: ওয়েবকুপার অভিযোগ, সরকারকে বিকৃত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন উপাচার্য, তাই অপসারণ দাবি করা হচ্ছে।

Kazi Nazrul University: উপাচার্যের বিরুদ্ধে গাছ চুরির অভিযোগ, অপসারণের দাবি তুলল খোদ তৃণমূল সমর্থিত ওয়েবকুপা
ডানদিকে উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তী, বাঁদিকে রেজিস্টার চন্দন কোনার (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 11:32 AM
Share

আসানসোল: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার বনাম উপাচার্য সংঘাত এবার আরও চরমে। রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায় করলেন উপাচার্য উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। অন্যদিকে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছেন বলে হুঁশিয়ারি রেজিস্ট্রারের। সম্প্রতি রেজিস্ট্রারকে চন্দন কোনার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নোটিস দিয়েছিলেন উপাচার্য। সেই ঘটনা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। আর এবার সেই বিতর্কে নয়া মোড়। সংঘাতের মাঝেই উপাচার্যের অপসারণ দাবি করে সরব হল তৃণমূল সমর্থিত ওয়েবকুপা। অন্যথায় উপাচার্যকে কোনও রকম সহযোগিতা করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাঘরে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান ওয়েবকুপার কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সজল কুমার ভট্টাচার্য।

ওয়েবকুপার তরফে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া দরকার। বেশ কিছু গাছ কেটে রাতারাতি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ তাদের। আর সেই টাকার নাকি কোনও তথ্য ফিনান্স অফিসারের কাছে নেই!

তৃণমূল সমর্থিত ওয়েবকুপার দাবি ডিএ আন্দোলনের সঙ্গে তারা কোনওভাবেই জড়িত ছিল না। ওয়েবকুপার অভিযোগ, সরকারকে বিকৃত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন উপাচার্য, তাই অপসারণ দাবি করা হচ্ছে।

ওয়েবকুপার এই দাবিকে সরাসরি সমর্থন করেছেন রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার। তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা যখন পদত্যাগ দাবি করছেন, তখন সেটা তো বাস্তবায়িত করতেই হবে। না হলে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যাবে না।’ আর্থিক দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গাছ কাটার টাকা ফান্ডে জমা পড়েনি। শিক্ষকরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে আছেন। তাঁরা যখন অভিযোগ করছেন তখন তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত।’ তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই উচ্চ শিক্ষা দফতরকে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন চন্দন কোনার।

দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে এর কোন উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। তিনি জানান তিনি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রী চুরি করার অভিযোগে এফআইআর করেছেন। সূত্রের খবর আসানসোল উত্তর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।