আসানসোল : পুজোর (Durga Puja 2022) সময় করোনার প্রকোপ যাতে নতুন করে না বাড়ে তার জন্য এখন থেকেই জোরদার প্রচারাভিযান শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে প্রচারে লাগল রাজনীতির রং। ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ লেখা টি-শার্ট পড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা। অভিনব এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেল আসানসোলের (Asansol) কুলটি নিয়ামতপুর বাজারে। গোটা বাজারে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষকে পুজোর সময় ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিলেন তৃণমূল কর্মীরা। নেতৃত্ব দিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন এক মহিলা পুলিশকে গায়ে হাত দিতে নিষেধ করতে গিয়ে এ কথা বলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর লেডি, আই অ্যাম মেলস। একজন মহিলা পুলিশ কর্মী হয়ে আমার গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? আমি গায়ে হাত দিতে দেব না।” এ কথাই বলেছিলেন শুভেন্দু। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছিল চাপানউতর। লাগাতার আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। এবার নাম না করে একেবারে শুভেন্দুর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের এই প্রচারে সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিনও রীতিমতো কটাক্ষের সুরে তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “টিভিতে দেখছি কেউ চিৎকার করে বলছেন আমি মেল। চিৎকার করে বলার কী আছে! টি-শার্ট পড়ে নিলাম। লেখা আছে। বলা হল।” যদিও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমিত গড়াই বলেন, “একজন মহিলাকে যখন গ্রেফতার করতে হয় তখন মহিলা পুলিশই লাগে। আইনত পুরুষের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করার জন্য মহিলা পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনটা হতে পারতো তৃণমূলের প্ল্যান অনুযায়ী ওই মহিলা পুলিশই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি অভিযোগ করতো আগামীদিনে।সেই সুযোগ না দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রথম থেকেই এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ওই মহিলা পুলিশ থেকে নিজেকে তফাতে রাখেন।তিনি মহিলাকে সম্মান করেন।মহিলাকে মাতৃরূপে দেখেন। তাই ওই কথা বলেছিলেন।”
একইসঙ্গে বিশ্বজিৎ শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আর যারা ওই কথাটিকে সামনে রেখে এরকম গেঞ্জি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের শিক্ষা নেই। মহিলাদের প্রতি সম্মান নেই বলেই তারা এরকম কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের ভাবনার দৈন দশা হয়েছে। যে যুব তৃণমূল নেতা এই কর্মসূচিটি করেছেন তাঁর নিজেরই কোন ঠিক নেই। তিনি মাসে দুবার করে ফেসবুকে রেজিগনেশন দেন আবার ফিরে আসেন। ওই নেতার দলে কোনও অস্তিত্বই নেই। এই ধরনের স্ট্যান্ট বাজি বা ফাটকা কর্মসূচি করে বেড়ান। তাতে জনমানসে কোনও প্রভাব পড়ে না।”