Extra Marital Affair: মামীর সঙ্গে ‘পরকীয়ার’ অভিযোগ ভাগ্নের, চরম পরিণতি!
Durgapur: ২০১৭ সালে ভাগ্নে আজগর আলীর সঙ্গে আকিদা বিবির বিয়ে হয়।
দুর্গাপুর: মামীর সঙ্গে ভাগ্নের পরকীয়া সন্দেহ। শুধু মাত্র সন্দেহের জেরেই ওই মহিলাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকার এই ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।
মৃতের নাম জাইতুন নিশা বিবি (৪৩)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুনের ঘটনার অভিযোগে ভাগ্নের শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ভাগ্নে আজগর আলীর সঙ্গে আকিদা বিবির বিয়ে হয়। মামার বাড়িতেই ছোটোবেলা থেকে মানুষ আজগার আলী। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগেই ছিল এই পরিবারে। অশান্তির মূল কারণ ছিল মামী জাইতুন নিশাকে কেন্দ্র করে। আজগরের স্ত্রী আকিদা বিবি মামীর দাবি তাঁর স্বামীর সঙ্গে মামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। যার কারণে বারংবার দাম্পত্যে অশান্তি লেগে যেত। এবার সেই সন্দেহের যবনিকা পড়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে।
অভিযোগ, আকিদার বাবা মা মেয়ের কথা শুনে জেমুয়া থেকে হরিবাজারে মেয়ের বাড়ি যায়। এরপর শুরু হয় তুমুল অশান্তি। অভিযোগ আকিদার বাবা শেখ আকশারুল, ও মা খুরশিদা বিবি চুলের মুটি ধরে আজগরের মামী জাইতুন নিশা বিবিকে মারধর শুরু করে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মৃত্যু হয় জাইতুন নিশা বিবির। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
এই ঘটনায় আজগার জানায়, ভাত খাওয়া নিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয়। আমি মামার বাড়ি খেয়ে বাড়ি ঢুকি। তারপর ঝামেলা শুরু হয়। এইবার হঠাৎ আমার শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়িতে এসে মামীকে মারধর শুরু করে। মাথার পিছনে আঘাত করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, আজ আরও একটি নিখোঁজ গৃহবধূর ঘটনা সামনে এসেছে। এবারে আর শীতবস্ত্র নয়, সন্তানকে টিউশন পড়াতে ‘যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরলেন না গৃহবধূ। তাঁকে না পেয়ে উদ্বেগে গোটা পরিবার। তবে কি বালির দুই গৃহবধূর দেখানো পথই অনুসরণ করলেন তিনিও? আশাঙ্কা গ্রাস করেছে পরিজনদের।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পিংলা থানার দনীচক এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, পিংলা থানার দনীচক এলাকার বাসিন্দা সুদেষ্ণা মাইতি। তাঁর স্বামী গোপাল মাইতি। কর্মসূত্রে গোপালবাবু হাওড়াতে থাকতেন। পাঁচ বছরের ছেলে রাজকুমারকে নিয়ে পিংলায় বসবাস করতেন সুদেষ্ণা।
এদিন, রাজকুমারকে টিউশন পড়াতে নিয়ে যাবেন বলে বাড়ির টাকা-পয়সা ও সোনার গহনা নিয়ে বের হন ওই গৃহবধূ। কিন্তু অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরও ফেরেননি তিনি। এরপরই খোঁজ শুরু হয় তাঁর। এদিকে, তাঁকে ফোন করলে মোবাইলও সুইচ-অফ পান বলে দাবি পরিবারের। গোটা ঘটনায় নিখোঁজ ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রনের এই দুই উপসর্গের দেখলে সতর্ক হোন, এটি সাধারণ সর্দি থেকে আলাদা…