‘মাথা গরম করিস না, আমি আসছি’, জিতেন্দ্রকে মমতা

ধবার বিকেল ৪ টে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর ফোন আসে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের কাছে। এক মিনিটের মতো কথা হয়।

'মাথা গরম করিস না, আমি আসছি', জিতেন্দ্রকে মমতা
ফোন করে জিতেন্দ্রকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মমতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2020 | 9:41 PM

আসানসোল: অভিষেক বা পিকে নয়, জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) মানভঞ্জন করতে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, এদিন জিতেন্দ্রকে মমতা ফোন করে বলেন “মাথা গরম করিস না। ১৮ তারিখ বসছি। সব সমস্যার সমাধান করে দেবো”। উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।

জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল ৪ টে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর ফোন আসে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের কাছে। এক মিনিটের মতো কথা হয়। ১৮ তারিখ কলকাতায় ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকের আশ্বাস দেন। সূত্রের খবর, কলকাতায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার দুর্গাপুরের এক সভায় ফিরহাদ হাকিম ও দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন আসানসোল পুরসভার প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ‘দিদি’র প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করলেও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করে তিনি বলেন, “যিনি কলকাতাকে মিনি পাকিস্তান করবেন বলেছিলেন তার কথা শুনে দল করবো না!” এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, আপাতত তাঁকে মিটিংয়ে যেতে বারণ করা হয়েছে। বলেন, “কাল রাতে আমাকে মেসেজ করে ১৮ তারিখ পর্যন্ত দলীয় মিছিল মিটিং যেতে বারণ করা হয়েছে। অপরাধ কী জানি না। যদি জেলা সভাপতির পদ ছাড়তে হয়, ২ মিনিটে ছেড়ে দেব। আসানসোলের প্রশাসক-সহ বিধায়ক পদও ছেড়ে দেব। তবে মানুষের সঙ্গে থাকব।”

আরও পড়ুন: ‘জেলা সভাপতি হিসাবে শেষ মিটিং কিনা জানি না’, দলত্যাগের জল্পনা উস্কে দিলেন জিতেন্দ্র

এরপরেই দেখা যায় আসানসোলে এসে তিনি ভার্চুয়ালি ৪০ টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। রাতারাতি এই ১১০ কোটি টাকা প্রকল্পের উদ্বোধনের পরেই জল্পনা শুরু হয়। তবে কী পুরপ্রশাসকের পদ ছেড়ে দিচ্ছেন জিতেন্দ্র? ছেড়ে দিচ্ছেন দলের জেলা সভাপতির পদ? তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন আপাতত জিতেন্দ্রর ক্ষোভ প্রশমিত করে বলেই মত রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

আরও পড়ুন: ফাঁসিয়ে দিতে পারে রাজ্য পুলিস! রাজ্যপালকে বিস্ফোরক চিঠি শুভেন্দুর