Fly Ash Accident: আসানসোলে ফ্লাই অ্যাশে দুর্ঘটনা, ছাই চাপা পড়ার আশঙ্কা তিন শ্রমিকের
Asansol: ফ্লাই অ্যাশের স্টোরেজ ট্যাঙ্ক ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটে মঙ্গলপুরে।
আসানসোল: ফ্লাই অ্যাশের স্টোরেজ ভেঙে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা আসানসোলে। ছাইয়ের স্তূপের নীচে চাপা পড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তিনজন শ্রমিকের। একজন শ্রমিককে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুকে শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলপুর শিল্পতালুকে বেশ কিছু স্পঞ্জ আয়রনের কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলি থেকে যে ফ্লাই অ্যাশ তৈরি হয় তার জন্য একটি স্টোরেজ ট্যাঙ্ক ছিল। সেই স্টোরেজ ট্যাঙ্ক বা ছাই ভর্তি চৌবাচ্চাটি ভেঙে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এই ফ্লাই অ্যাশ দিয়ে ইট তৈরি হয়। ধস কবলিত এলাকায় ভরাট বা জলা জমি ভরাটের কাজের জন্য অনেকেই এই ছাই নিতে আসেন। শনিবার ভোরে হঠাৎই ডাম্পিং স্টোরেজটি আচমকা ভেঙে পড়ে। ওই সময় নীচে কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা ছাইয়ের নীচে চাপা পড়ে যান বলে শ্রমিকদের একাংশের দাবি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজও শুরু করে দেয় তারা।
পুলিশি তৎপরতায় শিবনাথ রাম নামে এক কর্মীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু শ্রমিকদের একাংশের দাবি, তন্ময় ঘোষ, দিলীপ গোপ, শিবশঙ্কর ভট্টাটার্য নামে তিনজন ওই ছাইয়ের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন। রানিগঞ্জের বল্লভপুর এলাকার বাসিন্দা তন্ময় ঘোষের বয়স ৪২ বছর। অণ্ডালের হরিশপুরের বাসিন্দা দিলীপ গোপের ৪৩ বছর বয়স বাঁকুড়ার পলাশডাঙার বাসিন্দা শিবশংকর ভট্টাচার্যের বয়স ৩৬ বছর। শ্রমিকদের অভিযোগ কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও দমকল বিভাগ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
জিতেন ঘোষ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “এখানে কাজ করেন আমার এক আত্মীয়ও আছেন। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটল। যদি বড় বিপদ ঘটে তার দায়িত্ব এই কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। সকলের সংসার রয়েছে। পরিবার রয়েছে।”
আরও পড়ুন: SSC Recruitment: তালিকায় পিছনে নাম, তবু নিয়োগ কেন? এসএসসির কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট