Women Trafficking: বেনারস থেকে ২ নাবালিকাকে এনে দুর্গাপুরের যৌনপল্লিতে বিক্রি! হাতেনাতে পাকড়াও পালের গোদা

Durgapur: বাড়িতে অর্থনৈতিক দুরবস্থা। প্রতিদিনই হত অশান্তিু। তাই সংসারের হাল ফেরাতে এই ছোট্ট বয়সে কাজ খুঁজতে বেরিয়েছিল দুই নাবালিকা। আর তাদের কাজ পাইয়ে দেবার নাম করে যৌনপল্লিতে বেচে দিয়েছিল এক দুষ্কৃতী।

Women Trafficking: বেনারস থেকে ২ নাবালিকাকে এনে দুর্গাপুরের যৌনপল্লিতে বিক্রি! হাতেনাতে পাকড়াও পালের গোদা
যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার দুই নাবালিকা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2021 | 9:52 PM

দুর্গাপুর: বাড়িতে অর্থনৈতিক দুরবস্থা। প্রতিদিনই হত অশান্তিু। তাই সংসারের হাল ফেরাতে এই ছোট্ট বয়সে কাজ খুঁজতে বেরিয়েছিল দুই নাবালিকা। আর তাদের কাজ পাইয়ে দেবার নাম করে যৌনপল্লিতে বেচে দিয়েছিল এক দুষ্কৃতী। তবে সময় মতো দুর্বার সমিতির হস্তক্ষেপে উদ্ধার হল উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা দুই নাবালিকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া থানা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, এদিন যৌনপল্লীতে বিক্রি করতে এসে দুর্বার সমিতির হাতে ধরা পড়ে যায় এক পাচারকারী। অভিযুক্তর নাম মণিরুল মণ্ডল। দুর্গাপুরের কাদারোডের যৌনপল্লির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মণিরুল মণ্ডল আদতে রাজস্থানের জয়পুরে একটি হোটেলে কাজ করে। তার বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গাইঘাটা অঞ্চলে। অন্যদিকে দুই নাবালিকা উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা। অভিযুক্ত মণিরুলের সঙ্গে এই দুই নাবালিকার পরিচয় হয় বেনারস বাস স্ট্যান্ডে। নিজেদের দুরবস্থার কথা তারা বিশ্বাস করে মণিরুলকে বলেছিল। তখনই মণিরুল কাজ দেওয়ার ছক করে দুই নাবালিকাকে নিয়ে আসে এ রাজ্যে। সুদূর বেনারস থেকে তাদের এনে তোলা হয় দুর্গাপুর যৌনপল্লিতে।

এদিকে মঙ্গলবার দুই নাবালিকার সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে যৌন পল্লিতে দেখে সন্দেহ হয় দুর্বার সমিতির সদস্যদের। তাঁরা খোঁজখবর শুরু করেন। তখন দুই নাবালিকা সব ঘটনা খুলে বলে। এর পর মণিরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। তার কথার মধ্যে বিভিন্ন অসঙ্গতি পাওয়া যায়। তার পর দুর্বার মহিলা সমিতির অফিস ঘরে আটকে রাখা হয় মনিরুলকে। আটক করা হয় দুই নাবালিকাকেও। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

জানা গিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই দুই নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। তার পর তারা চলে যায় বেনারস বাস স্ট্যান্ডে। সেখানে দুই নাবালিকাকে দেখে পরিচয় জমায় এই মণিরুল। এরপরই ছলেবলে কৌশলে তাদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দুর্গাপুর কাদারোড যৌনপল্লিতে নিয়ে আসে অভিযুক্ত। গোটা ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দুই নাবালিকার পরিবারকেও খবর পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে জনৈক শম্পা নামে এক মহিলার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত মণিরুল মন্ডল। এই শম্পা আসলে কে, তার পরিচয় জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: TMC: কখনও ৩ হাজার কখনও বা ৫! দেদার তোলাবাজি তুলেছেন তৃণমূল নেতারা 

আরও পড়ুন: Slum eviction: ‘ঘরের বদলে ঘর চাই!’ দক্ষিণেশ্বর রেলবস্তি উচ্ছেদকে ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলতা