AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arjun Singh: ‘লতিফের জন্য চিন্তা হচ্ছে, ওকে না সরিয়ে দেয়’, রাজু ঝায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন

Arjun Singh: রাজুর খুনের ঘটনার পরই অর্জুন জানিয়েছিলেন, রাজুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তিনি। সেইমতোই এদিন দুর্গাপুরের বিধাননগরে রাজু ঝায়ের বাড়িতে যান অর্জুন।

Arjun Singh: 'লতিফের জন্য চিন্তা হচ্ছে, ওকে না সরিয়ে দেয়', রাজু ঝায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক অর্জুন
লতিফকে নিয়ে আশঙ্কা অর্জুন সিংয়ের।
| Edited By: | Updated on: Apr 07, 2023 | 4:19 PM
Share

দুর্গাপুর: শক্তিগড় গুলিকাণ্ডে নিহত রাজেশ ওরফে রাজু ঝায়ের বাড়িতে সাংসদ অর্জুন সিং। শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে রাজুর বাড়িতে যান অর্জুন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সাংসদ। সেখানেই বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। অর্জুনের আশঙ্কা, দোষীরা দ্রুত গ্রেফতার না হলে, আব্দুল লতিফকেও খুন করা হতে পারে। ষড়যন্ত্র করে রাজুকে খুন করা হয়েছে, পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অর্জুন সিং। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজু ঝা। তাঁর সেই যোগদান সভায় ছিলেন তৎকালীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সেই সময় বিজেপিতে থাকা সাংসদ অর্জুন সিং। অর্জুন এখন তৃণমূলে, দিলীপও রাজ্য সভাপতি পদে নেই। রাজুর খুনের ঘটনার পরই অর্জুন জানিয়েছিলেন, রাজুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তিনি। সেইমতোই এদিন দুর্গাপুরের বিধাননগরে রাজু ঝায়ের বাড়িতে যান অর্জুন।

রাজুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে অর্জুন সিং বলেন, “আমার লতিফকে নিয়ে এখন চিন্তা হচ্ছে। লতিফকেই না রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, তদন্ত যখন এগোবে, লতিফের কাছে পৌঁছবে, মাস্টার মাইন্ডরা লতিফকেই হয়ত সরিয়ে দেবে।” একইসঙ্গে অর্জুন বলেন, রাজুর পরিবারের পাশে রয়েছেন তিনি। অর্জুনের কথায়, “ও কবে কী করেছিল আমি জানি না। তবে ও এখন গুড বিজনেসম্যান ছিল। তাঁর পাশে দাঁড়ানো উচিত। যেভাবে খুন হয়েছে ২০০ শতাংশ নিশ্চিত পরিকল্পনা করে রাজুকে এনে মারা হয়েছে। এটা ছোট মাথার কাজ না। এসব কেসে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীই থাকে না।”

অর্জুনের এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই চাপানউতর শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “অর্জুনদা যেটা বলেছেন, সঠিক কথাই বলেছেন। কারণ, যাদের কাজ ফুরিয়ে যায়, তাদের এসব ক্ষেত্রে রেখে দেওয়া হয় না। যারা রেখে দেয়, তাদের জন্য দুর্বলতা। মাস্টার মাইন্ডদের জীবনে এই লোকগুলো যে কোনও দিন বিপদ ডেকে আনতে পারে, মানে লতিফের মতো লোকেরা।”

অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সমবেদনা জানাতে উনি যেতেই পারেন। এ বিষয়ে যারা তদন্ত করছে, এসআইটি আছে তো। বর্ধমানের এসপি কামনাশিস সেনের নেতৃত্বে এসআইটি (SIT) তৈরি হয়েছে। তবে রাজু ঝাকে একুশের নির্বাচনের পর সেভাবে দলের সঙ্গে দেখিনি। রাজু ঝা যখন জয়েন করেছিল, তার আগে তৃণমূল ছিল, তার আগে সিপিএমের সময় ছিল। সিপিএমের এক নেতার কাছেরও ছিল খুব, নাম বলতে চাই না। অনেক সময় এরকম লোকেরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। আমার মনে হয় কাগজগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার জন্য খুন হতে পারে। আর যে কোনও মার্ডারই তো পরিকল্পিত হয়।”