100 Days work: ৪ মাস কাজের পরও মেলেনি টাকা, সরকারের উপর ক্ষোভ উগরালেন ১০০ দিনের কাজের কর্মীরা
Ghatal: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গার মতোই ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর ব্লকের একশো দিনের কাজের জব হোল্ডাররা বেশ কিছুদিন কাজ করে টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন।
ঘাটাল: ক্ষোভে ফুঁসছেন জব হোল্ডাররা। একশো দিনের কাজ করেও সাড়ে চার মাস ধরে টাকা না মেলায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। আর এর জেরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রশাসন সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গার মতোই ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর ব্লকের একশো দিনের কাজের জব হোল্ডাররা বেশ কিছুদিন কাজ করে টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের মজুরি টাকা দিতে না পেরে জেলার অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কাজের পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তার মধ্যে ঘাটাল মহকুমায় ৪৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত। কেন মজুরি মিলছে না! সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক টানাপোড়েন। যদিও ঘাটাল ব্লকের তৃণমূল নেতা দিলীপ মাঝি (তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি) বলেন, “শুধুমাত্র ঘাটাল ব্লকেই বাকি রয়েছে ১৮ কোটি টাকা।” আর এই টাকা না মেলায় কেন্দ্রের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে শুধু একশো দিনের কাজের মজুরি বাবদ।
যদিও, বিষয়টিকে নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি নেতৃত্ব। ঘাটালের বিজেপি নেতা রামকুমার দে বলেন, ” রাজনৈতিক টানাপোড়েন যাই হোক না কেন, তবে একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে যেন কাজের বকেয়া টাকা ঢোকে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।” এই বিষয়ে এক উপভোক্তা বলেন, “বিগত তিন-চার মাস ধরে জব কার্ডে কোনও রকম পেমেন্ট হচ্ছে না। এখানে বেশির ভাগ মানুষের দাবি পেমেন্ট যেন তাড়াতাড়ি করে দেওয়া হয়। তাতে সকলের সুবিধা হয়।”