Howrah Woman Death: জামাইয়ের একটা ফোনেই সন্দেহ হয়েছিল, পরে মেয়ের চরম পরিণতিতে কেঁদে কূল পাচ্ছেন না বাবা
Howrah: এই অভিযোগ তুলেই শনিবার দুপুরে হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বরে সরব হন মৃত বধূর বাবা দেবাশিস অধিকারী ও বাপের বাড়ির অন্য সদস্যরা।
হাওড়া: বাপের বাড়ির তরফে অভিযোগ উঠেছিল অনেক আগেই। তাঁদের মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই লাগাতার অত্যাচার করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু, পরে যে মেয়েকেই হারিয়ে ফেলবেন তা হয়ত ভাবেননি পরিবারের সদস্যরা। গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছে যান বাপের বাড়ির সদস্যরা। সেখানেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের উপর চড়াও হন তাঁরা।
কী ঘটেছে?
খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত হল হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বর। মৃতের নাম পিঙ্কি অধিকারী (২২)। তাঁকেই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে মেরে দিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই অভিযোগ তুলেই শনিবার দুপুরে হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বরে সরব হন মৃত বধূর বাবা দেবাশিস অধিকারী ও বাপের বাড়ির অন্য সদস্যরা। হাসপাতালে উপস্থিত মৃতের স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের উপর রীতিমতো চড়াও হন বাপের বাড়ির সদস্যরা। দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা ও হাতাহাতি বেধে যায়। পরে হাওড়া থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে তার মধ্যেই হাসপাতাল ছেড়ে চম্পট দেন মৃত বধূর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। গৃহবধূর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিছে পুলিশ।
এদিন মৃত মহিলার বাবা দেবাশিস অধিকারী জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১টার সময় লিলুয়ায় বধূর শ্বশুরবাড়ির তরফে তাঁকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর মেয়ে অসুস্থ হয়ে স্থানীয় কোনা হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে মেয়েকে দেখতে ছুটে যান মেয়েটির বাবা ও মা। কিন্তু ওই হাসপাতালে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে লিলুয়া থানায় ফোন করেন তাঁরা। এরপরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে এসে দেখেন তাঁর মেয়ে পিঙ্কি মৃত। দেবাশিসবাবুর আরও অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়ের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতেন স্বামী শুভঙ্কর দেবনাথ। শুভঙ্কর পেশায় পোশাক ব্যবসায়ী। নিত্যদিনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করতেন।
এই নিয়ে পিঙ্কির বাপের বাড়ির তরফে বেশ কয়েকবার লিলুয়া থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর বাবার। মৃতার স্বামী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লিলুয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, বছর নয়েক আগে সালকিয়ার বাসিন্দা পিঙ্কি বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। সেই সময় তার বয়স ছিল ১২। লিলুয়ার জগদীশপুর কয়ালপাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্করকে বিয়ে করে সে। তাঁদের একটি বছর সাতের পুত্রসন্তান রয়েছে।