Paschim Medinipur: পাম্প চালিয়ে জল খেতেই রেগে আগুন শিক্ষক, মারের চোটে সোজা হাসপাতালে নবম শ্রেণির পড়ুয়া
Paschim Medinipur: আহত অবস্থায় কোনওমতে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে রোহিত। বাড়ি এসে পরিবারের সদস্যদের সবটা খুলে বলেন। ছেলের অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি তাঁকে ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা-মা। ঘটনার খবর চাউর হতেই রাতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। শনিবার সকালে স্কুল খুলতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা।
ঘাটাল: শিক্ষক বলেছিলেন ট্যাঙ্কের জল খেতে। কিন্তু, সেই নির্দেশ না মেনে পাম্প চালিয়ে জল খেয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্র। তাতেই তেলেবেগুনে রেগে গেলেন শিক্ষক। বেধড়ক মারধর করলেন পড়ুয়াকে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্র। ঘটনায় এদিন স্কুলে এসে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের কিসমত দীর্ঘ গ্রাম হাইস্কুলে।
এই স্কুলেরই নবম শ্রেণি ছাত্র রোহিত পাঁজা। রোহিতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও স্কুলে এসেছিল রোহিত। কিন্তু, স্কুলে এসে শিক্ষকদের কথা অমান্য করে ট্যাঙ্কির জল না খেয়ে পাম্প চালিয়ে পানীয় জল যায়। সেই অপরাধেই অপরাধেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন দোলই রোহিতকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারের চোটে স্কুলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে রোহিত। এত কাণ্ডের পর কিছু তাঁর পরিবারকে স্কুলের তরফে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।
আহত অবস্থায় কোনওমতে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে রোহিত। বাড়ি এসে পরিবারের সদস্যদের সবটা খুলে বলেন। ছেলের অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি তাঁকে ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে যান তার বাবা-মা। ঘটনার খবর চাউর হতেই রাতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। শনিবার সকালে স্কুল খুলতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এদিনই আবার কাকতালীয়ভাবে স্কুলে আসেননি প্রধান শিক্ষক। কিন্তু, তাঁর শাস্তির দাবিতে দীর্ঘ সময় চলে বিক্ষোভ। যদিও এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফোনো যোগাযোগ করা হলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি অভিযুক্ত শিক্ষক।