Abhishek Banerjee On Bayron Biswas TMC Joining: “A=B=C মানে A=C”, বাইরনের তৃণমূলে যোগদানের নেপথ্যে বীজগণিতের সমীকরণ বোঝালেন অভিষেক
Abhishek Banerjee On Bayron Biswas TMC Joining: "আমরা সকলেই খুশি, বাইরন আজকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই বছর ২ মার্চে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ফল ঘোষণা হয়। সেখানে সাগরদিঘির মানুষের আর্শীবাদ নিয়ে জিতেছিলেন।"
ঘাটাল: তৃণমূলে যোগ দিলেন বাইরন বিশ্বাস। বিধানসভায় ফের ‘শূন্য’ কংগ্রেস। জেতার ৩ মাসের মধ্যেই দলবদল করলেন তিনি। প্রলোভন নাকি হুমকি, নাকি রাজনৈতিক অন্য সমীকরণ? বাইরনে তৃণমূলে যোগদানের নেপথ্যে ঠিক কী কী কারণ থাকতে পারে? সোমবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাইরনের হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দেওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে কারণও বিশ্লেষণ করলেন।
Key Highlights
- আমরা সকলেই খুশি, বাইরন আজকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই বছর ২ মার্চে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ফল ঘোষণা হয়। সেখানে সাগরদিঘির মানুষের আর্শীবাদ নিয়ে জিতেছিলেন। বিধানসভায় বিধায়ক হিসাবে শপথ নেন। আমার সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ হয়েছিল। জনসংযোগ যাত্রায় একাধিকবার ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মযজ্ঞ ও তৃণমূলের মতাদর্শকে সামনে রেখে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
- আমার মনে হয় বাইরন মুর্শিদাবাদে ফিরে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইটা করবেন। জাতি দলমত নির্বিশেষে কাজ করবেন। আগামী দিনে তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে কাজ করবেন।
- রামধনু জোটের সার্বিক ফল হচ্ছে শূন্য। কী ফল করেছে? লড়াই ছিল তৃণমূল বনাম বিজেপি। কংগ্রেসের নেতারা সিপিএম-আইএসএফের সঙ্গে জোট করে কাদের সুবিধা করে দিয়েছে? মানুষ দেখেছে। আমাদের নেত্রী ১০ দিন আগে বলেছেন, আমরা জাতীয় স্তরে কংগ্রেসকে সমর্থন করতে পারি। কিন্তু বাংলায় যেখানে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছি, সিপিএম আর বিজেপির হাত শক্তিশালী করছেন অধীর চৌধুরী।
- আমাদের সভানেত্রী বলার পরও প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বলছেন, না আমরা কংগ্রেসের সৈনিক হিসাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই লড়়ব। তার মানে আপনাদের লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে নয়। অন্ততপক্ষে বাংলায় নয়। আর বাংলায় যদি আপনারা বিজেপির হাত শক্তিশালী করেন, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতও ২০২৪ সালে শক্তিশালী করছেন। A=B=C তাহলে A=C (বীজগণিতের অঙ্কে ফর্মুলা A=B, B=C)। এটা তো প্রমাণিত।
- আপনি একদিকে বললেন দিল্লিতে ইডি খুব খারাপ, আর বাংলায় বলছেন ইডি খুব ভাল। আমাদের নেত্রী বলেছেন, কর্ণাটকের নির্বাচনে আমরা কোনওভাবে লড়াই করছি না, অংশগ্রহণ করিনি। তাও আমরা বলেছি, নো ভোট টু বিজেপি। আপনি যে কোনও দলকে ভোট দিন, কিন্তু বিজেপিকে হারান। কর্ণাটকে কংগ্রেস জিতেছে, আমরা শুভেচ্ছা জানিয়েছি। কংগ্রেস যদি ভাবে এখানে আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ব, আর অন্যদিকে বলব, তৃণমূল আমাদের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করছে না। এটা তো হতে পারে না। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী কিন্তু বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন।
- আপনি যদি তৃণমূলের হাত ধরেন, তাহলে তো বিজেপির হাত শক্ত হচ্ছে। অধীর চৌধুরী তাহলে কাকে মদত দিচ্ছেন? ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরে কে জিতেছিলেন? সেই ভোট ২০২১ সালে কার দিকে ট্রান্সফার হয়েছে?
- বহরমপুর বিধানসভায় গত ২ বছরে মনোজ চক্রবর্তীর আসনে কত ভোট বিজেপিতে ট্রান্সফার হয়েছে? তাতে লাভ কার হয়েছে? বিজেপির না তৃণমূলের?
- তৃণমূল এখানে ৪২ টি আসনে লড়াই করবে। আপনি ভোট কাটার নাম করে ২ শতাংশ ৪ শতাংশ ভোট কেটে বেরিয়ে যাবেন, তা তো হতে পারে না।
- আমার দল ভাঙিনি। বাইরন বিশ্বাস মুর্শিদাবাদ থেকে মেদিনীপুর এসে জয়েন করলেন। আমি অধীর চৌধুরীকে বলি, যদি দল ভাঙাতে হত, তাহলে কংগ্রেসের একটা বোতাম টিপলে চার জন এমপি কালকে তৃণমূলে আসবে। শুধু বাংলার নয়, অন্য রাজ্যের এমপি-রাও রয়েছেন।
- বিজেপির জন্য দরজাটা খুলিনি। খুললে একটু ফাঁক করলে অনেকেই গলে যাবেন। সুতরাং স্ক্রিনিং করে নেওয়ার প্রশ্ন যেহেতু, তাই বিজেপির যাঁরা যোগাযোগে রয়েছেন, তাঁদের বলি, রাজনীতিতে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটটা সঠিকভাবে যখন বলে লাগে, তখন চার কিংবা ছয় হয়। তাই যখন দরজা খোলা হবে, নিশ্চিত অনেকে ঢুকে যাবেন।
- সর্বশক্তি প্রয়োগ করে দিল্লির বিরুদ্ধে লড়াই করব। বাইরনকে কি পদত্যাগ করানো হবে? সে প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, “অ্যান্টি ডিফেকশন ল যদি অ্যাপ্লিকেবল হয়, তাহলে হবে। এটা তো স্পিকারের ব্যাপার। একটাই তো সিট, এখানে তো অ্যান্টি ডিফেকশন ল কার্যকরী নয়।”