Chandrakona Rape Allegation: দুধওয়ালা সাড়া না পেয়ে ফেরত যান, বাচ্চাটা কেঁদেই যাচ্ছিল, ঘরে বধূকে যা অবস্থায় দেখলেন প্রতিবেশীরা…
Chandrakona Rape: প্রতিবেশীরা খোঁজ নিতে ঘরে ঢুকতেই শিউরে ওঠেন। ঘরের মেঝেতে এলোথেলোভাবে পড়ে রয়েছে বধূর শরীরটা। সারা ঘর লণ্ডভণ্ড। বধূর শরীরও অর্ধনগ্ন।
পশ্চিম মেদিনীপুর: দুধওয়ালা এসে একাধিবার ডেকে গিয়েছেন। সাড়া পাননি। ভেবেছিলেন বাড়িতে কেউ নেই। কিন্তু প্রতিবেশীরা শুনছিলেন বাচ্চাটার কান্নার আওয়াজ। এক টানা কেঁদেই যাচ্ছিল সে। প্রতিবেশীরা খোঁজ নিতে ঘরে ঢুকতেই শিউরে ওঠেন। ঘরের মেঝেতে এলোথেলোভাবে পড়ে রয়েছে বধূর শরীরটা। সারা ঘর লণ্ডভণ্ড। বধূর শরীরও অর্ধনগ্ন। দৃশ্য় দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান গ্রামবাসীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা এলাকায়। বধূকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিবেশীরা। তদন্তে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর স্বামী সোনার গয়নার কারিগর। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়ির বাইরে থাকেন তিনি। মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন গৃহবধূ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে গোয়ালা বাড়িতে দুধ দিতে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও তিনি সাড়া পাননি। ফলে চলে যান তিনি।
পরে গ্রামবাসীরা ওই ঘর থেকে বাচ্চা মেয়েটির কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। তাঁরা প্রথমে বিষয়টিতে আমল দিতে চাননি। আর পাঁচ দিনের মতোই বাচ্চাটা কাঁদছে ভেবেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও কান্না না থামায় তাঁর কৌতুহল বশত ওই গৃহবধূর নাম ধরে ডাকাডাকি শুরু করেন।
ওই গৃহবধূ সাড়া না দেওয়ায় ঘরে ঢুকে দেখতে যান প্রতিবেশীরা। তখনই বিষয়টি নজরে আসে তাঁদের। স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী, মেঝেতে বধূর দেহ পড়়েছিল। অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেহ পড়েছিল। ঘরের সমস্ত জিনিস লণ্ডভণ্ড ছিল। বধূর পাশেই পড়েছিল সিগারেটের প্যাকেট, মদের বোতল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমরা ওকে সকালেই ঘরের বাইরে রোজ দেখতে পেতাম। এদিন পাইনি। বাচ্চাটা খুব কাঁদছিল। কী হয়েছিল, খোঁজ নিতে গিয়েই এমন দৃশ্য দেখি।” আরেক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, “যে অবস্থায় দেহটা পড়েছিল, তাতে মনে হচ্ছে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে। আমরা দেহ দেখতে পেয়েই পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ ওর স্বামীকেও খবর দিয়েছে।”
ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বধূর স্বামী। চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গেও কথা বলবে। তার কোনও ব্যক্তির ওপর সন্দেহ রয়েছে কিনা, তাও জানতে চায় পুলিশ। ঘর থেকে মূল্যবান কোনও কিছু লুঠ গিয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে. ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তার ভিত্তিতে তদন্ত এগোবে।