AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dev: ‘আমরা তো টাকাই পেলাম না’, দেব ইস্তফা দিতেই ক্ষোভে ফুঁসলেন মহিলারা

Dev Adhikari: জানা গিয়েছে, করোনার সময়ে ঘাটাল হাসপাতালে তিরিশ জন অস্থায়ী কর্মীকে নিয়োগ করা হয়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেখভাল করতেই মুলত নিয়োগ করা হয় তাঁদের। একটি ঠিকাদারি সংস্থার মারফত নিয়োগ হন তাঁরা। অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতেই হঠাৎ করেই তাঁদের কাজ থেকে বিরতি দেওয়া হয়। তবে বকেয়া রয়েছে হাজার-হাজার টাকা।

| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 11:08 AM
Share

ঘাটাল: ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দিতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এরই মধ্যে গুরুতর অভিযোগ উঠল ঘাটালের সাংসদের বিরুদ্ধে। ঘাটাল হাসপাতালের একাংশ অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, কথা দিয়েও কথা রাখেননি এই তারকা সাংসদ।

কী ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, করোনার সময়ে ঘাটাল হাসপাতালে তিরিশ জন অস্থায়ী কর্মীকে নিয়োগ করা হয়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেখভাল করতেই মূলত নিয়োগ করা হয় তাঁদের। একটি ঠিকাদারি সংস্থার মারফত নিয়োগ হন তাঁরা। অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতেই হঠাৎ করেই তাঁদের কাজ থেকে বিরতি দেওয়া হয়। তবে বকেয়া রয়েছে হাজার-হাজার টাকা।

এই নিয়ে এই সকল কর্মীরা স্থানীয় প্রশাসন,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,জেলা প্রশাসন ও সাংসদ তথা ঘাটাল হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান দেবেরও দ্বারস্থ হয়। সেই সময় দেব গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন। কিন্তু হঠাৎ করে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ক্ষোভ ফুঁসছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে শনিবার ইস্তফা দিয়েছেন দেব। শুধু তা-ই নয়, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

মল্লিকা দাস নামে এক অস্থায়ী কর্মী বলেন, “আমাদের প্রায় ৯০ হাজার টাকা বাকি। উনি থাকাকালীন আমরা ভেবেছিলাম অন্তত টাকা পাব। এখন তো হতাশায় ভুগছি। করোনার সময় এত পরিশ্রম করেছি। অথচ টাকা পাইনি।” পুজা ঘোষ নামে আরও এক মহিলা বলেন, “দেব মিথ্যাবাদী। আমরা গরিব মানুষ। করোনার সময় না খেয়ে কটা টাকার জন্য কাজ করেছি। যেই পরিস্থিতি ঠিক হল আমাদের লাথি মেরে তাড়িয়ে দিল। দেব বলেছিলেন সব দেখে দেবেন। এখন মনে হচ্ছে মালিকপক্ষর কাছ থেকে উনিও টাকার ভাগ পেয়েছেন।” যদিও এই বিষয়ে দেবের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।