পশ্চিম মেদিনীপুর: গত ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূলকে দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ। এরপর দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার দেখা যায় ‘নতুন তৃণমূল গঠনের’ একাধিক পোস্টার। সেই পোস্টারে অভিষেকের ছবি। যা নিয়ে বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে ‘নতুন তৃণমূল’ গঠন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল চলতেও পারবে না, আর দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল ভাবাও যায় না।’
বুধবার সাত সকালেই পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাতঃভ্রমণ সারেন দিলীপ। এরপর চা চক্রে যোগ দেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, ‘সিপিআইএমের আমলেও নতুন সিপিএমএর স্লোগান দিয়ে বুদ্ধবাবুও ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তারপর কী হল?’ এরপর বিজেপি নেতা বলেন, ‘টিএমসি, আমরা এতদিন যে তৃণমূল দেখে এসেছি তা সম্পূর্ণ দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে।সেই দুর্নীতির হাত মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। এখন পোস্টার দিয়ে, নতুন স্লোগান দিয়ে আবার টিএমসিকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু মানুষ বুঝে গিয়েছে টিএমসির আসল চেহারাটা কী।’ তৃণমূলের সকল নেতাদের কটাক্ষ করে দিলীপের বক্তব্য, ‘ইঞ্চিসাইজ, ফুট সাইজ সব নেতাই এখন দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। সবার কাছে চিঠি যাচ্ছে, সবাইকে ডাকছে ,এবং সবাইকে তুলতে আরম্ভ করেছে। মানুষকে বোকা বানানোর আবার নতুন ফান্ডা তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় না, বাংলার মানুষ এই টিএমসির দিকে ঘুরে তাকাবে।দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল চলতেও পারবে না, আর দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল ভাবাও যায় না।’
উল্লেখ্য, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে নতুন তৃণমূল গঠনের স্লোগানের পর প্রায় কাটতে চলছে গোটা একটা মাস। এর মধ্যে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা (পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের) গ্রেফতারি অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে যা মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিকে, সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট, আর সেই নির্বাচনে নিজেদের মাটি শক্ত করতে মরিয়া ঘাসফুল। নতুন মুখের উপর জোর দেওয়া হবে বলে শোনা গিয়েছে তৃণমূলের র্শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।
এরপর গতকাল দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, কালীঘাট, হাজরায় পড়েছে অভিষেকের ছবি দেওয়া এই পোস্টার। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উল্টোদিকেও নতুন তৃণমূলের পোস্টার পড়তেই জল্পনা বেড়েছে রাজনৈতিক মহলে।