Forest Fire: দাউদাউ করে জ্বলল আগুন, পুড়ে খাক কয়েকশো বিঘা জঙ্গল
Forest Fire: জঙ্গলের পাশেই রয়েছে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের আম বাগান এবং সরকারি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। আগুনে শিখা সেদিকে এগোতে শুরু করতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কর্মীরা।

চন্দ্রকোনা: আবারও জঙ্গলে আগুন (Forest Fire)। দাউ দাউ করে জ্বলল প্রায় কয়েকশো বিঘা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে গড়বেতা রসকুণ্ডু বিটের অন্তর্ভুক্ত হুড়হুড়িয়া জঙ্গলে হঠাৎ আগুন লাগে। জঙ্গলের প্রায় সাড়ে তিনশো বিঘা এলাকা আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাও শেষ রক্ষা হয়নি। যদিও অল্পের জন্য আগুনের হাত থেকে বাঁচানো গিয়েছে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের আম বাগান এবং একটি সোলার প্রোজেক্ট।
জঙ্গলের পাশেই রয়েছে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের আম বাগান এবং সরকারি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প। আগুনে শিখা সেদিকে এগোতে শুরু করতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় রসকুণ্ডু বিট অফিসেও। কীভাবে আগুন লাগল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইসমাইল খানের সন্দেহ, কেউ বা কারা আজ দুপুরে হুড়হুড়িয়ার জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। বিশাল জঙ্গলের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কয়েকশো বিঘা এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন ভাবে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে জঙ্গলের অনেকটা জায়গা আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ, জঙ্গল থেকে কাঠ চুরি করার জন্য কিছু অসাধু চক্র রয়েছে, তারাই হয়ত এই আগুন লাগিয়ে দিয়ে থাকতে পারে যাতে পরবর্তী সময়ে জঙ্গল থেকে কাঠ চুরি করতে সুবিধা হয়। এদিকে বার বার এভাবে জঙ্গলে আগুন লাগানোর ঘটনায় বেশ বিরক্ত স্থানীয় মানুষজন। বন দফতর যাতে এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়, সেই দাবি তুলছেন এলাকাবাসীরা। যদিও এই আগুন লাগার ঘটনায় বন দফতরের প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
যদিও রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন গাছের পাতাগুলি শুকনো হয়ে পড়ে যায়। এই সময় গাছে কোনও পাতা থাকে না। আবার বর্ষার সময় নতুন পাতা জন্মায়। হয়ত কেউ বিড়ি-সিগারেট খেয়ে জ্বলন্ত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে, সেই থেকে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’ তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের সন্দেহের বিষয়টিকেও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মুখ্য বনপালকে জানাবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।
